আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in সালাত(Prayer) by (75 points)
আসসালামু আলাইকুম,

ইমামের পিছনে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব ছেড়ে দিলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?


ইমামের পিছনে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব ছেড়ে দিলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?


ইমামের পিছনে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব ছেড়ে দিলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?


ইমামের পিছনে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব ছেড়ে দিলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?


ইমামের পিছনে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব ছেড়ে দিলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


★হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ هَارُونَ بْنِ رُسْتُمَ السَّقَطِيُّ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو يَحْيَى الْعَطَّارُ ، ثَنَا شَبَابَةُ ، ثَنَا خَارِجَةُ بْنُ مُصْعَبٍ عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ الْمَدِينِيِّ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " لَيْسَ عَلَى مَنْ خَلْفَ الْإِمَامِ سَهْوٌ ، فَإِنْ سَهَا الْإِمَامُ فَعَلَيْهِ وَعَلَى مَنْ خَلْفَهُ السَّهْوُ ، وَإِنْ سَهَا مَنْ خَلْفَ الْإِمَامِ فَلَيْسَ عَلَيْهِ سَهْوٌ والْإِمَامُ كَافِيهِ 

আলী ইবনুল হাসান ইবনে হারূন ইবনে রুসতাম আস-সাকাতী (রহঃ) ... উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়ে তার উপর সাহু সিজদা নেই। ইমাম ভুল করলে ইমাম ও মোকতাদী উভয়কে সাহু সিজদা করতে হবে। মোকতাদী ভুল করলে তার জন্য সাহু সিজদা নেই, ইমামই তার জন্য যথেষ্ট।
(সুনানে দারা কুতনি ১৩৮৩,বাইহাকী ২/৩৫২)

বিখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) বলেন, ‘তুমি যদি ইমামের পেছনে ভুল কর, কিন্তু ইমাম কোনো ভুল না করে, তা হলে তোমার ওপর সাহু সিজদা নেই। আর ইমাম ভুল করলে তোমার ভুল না হলেও ইমামের সঙ্গে তোমাকে সাহু সিজদা করতে হবে।’ 
(কিতাবুল আসার, ইমাম আবু ইউসুফ, বর্ণনা : ১৮৭)
,
শরীয়তের বিধান হলো মুক্তাদীর এমন ভুল যার দ্বারা নামায ভঙ্গ হয় না, এমন কোন কাজ ইমামের পিছনে মুক্তাদী করলে এতে মুক্তাদীর উপর কোন কিছু যথা সাহু সেজদা আবশ্যক হয় না। বরং তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
,
 
فَأَمَّا الْمُقْتَدِي إذَا سَهَا فِي صَلَاتِهِ فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ؛ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُهُ السُّجُودُ؛ لِأَنَّهُ إنْ سَجَدَ قَبْلَ السَّلَامِ كَانَ مُخَالِفًا لِلْإِمَامِ، وَإِنْ أَخَّرَهُ إلَى مَا بَعْدَ سَلَامِ الْإِمَامِ يَخْرُجُ مِنْ الصَّلَاةِ بِسَلَامِ الْإِمَامِ؛ لِأَنَّهُ سَلَامُ عَمْدٍ مِمَّنْ لَا سَهْوَ عَلَيْهِ، فَكَانَ سَهْوُهُ فِيمَا يَرْجِعُ إلَى السُّجُودِ مُلْحَقًا بِالْعَدَمِ لِتَعَذُّرِ السُّجُودِ عَلَيْهِ، فَسَقَطَ السُّجُودُ عَنْهُ أَصْلًا، (بدائع الصنائع، كتاب الصلاة، فصل وَأَمَّا بَيَانُ مَنْ يَجِبُ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَمَنْ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ-1/175، الفتاوى الهندية-1/128، رد المحتار-2/82)
সারমর্মঃ
যদি মুক্তাদি নামাজের ভিতর কোনো ভুল করে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কেননা তার জন্য সেজদায়ে সাহু আদায় করার কোনো ইমকান, সুযোগ নেই।    
কেননা যদি সে ইমামের সালামের আগেই সালাম ফিরায়,তাহলে ইমের মুখালিফ তথা বিরোধিতা হলো।
যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরানোর পর সেজদায়ে সাহু আদায় করে,তাহলে সে তো ইমামের সাথে নামাজ থেকে বের হয়ে গিয়েছে,,,,,  
,
আরো জানুনঃ- 

★শরীয়তের বিধান হলো যদি কোনো মুক্তাদী নামাজের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়,তাহলে নামাজ এই ছুরতেও হয়ে যাবে,তবে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করা ওয়াজিব হবে।
যাতে করে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার দরুন যেই ত্রুটি এসেছে,সেটি যেনো দূর হয়ে যায়।
(ইমদাদুল আহকাম ১/৫২০,৫১৬।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি ইমামের পিছনেও কেউ ইচ্ছে করে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে,তবে ওয়াজিবুল ইয়াদাহ তথা উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব হবে।
সে ব্যাক্তি ইমামের সাথে নামাজ শেষ করে পুনরায় আবার উক্ত নামাজ আদায় করবে,এটি তার উপর ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...