ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/2480/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো কোরআনের তাফসীর অজু ছাড়া পড়া যাবে, তবে অজু
ছাড়া পড়া ভালো নয়।
তাই অজু সহকারে কুরআনের তাফসীর পড়াই ভালো। (ফাতাওয়ায়ে দারুল
উলুম দেওবন্দ ১৪/২৪৮)
গুনিয়্যাতুল মুসতামলি গ্রন্থে উল্লেখ আছেঃঃ
ویکره
أیضاللمحدث ونحوه مس تفسیرالقراٰن وکتب الفقه وکذاکتب السنن إلیٰ قوله والأصح أنه
لایکره عندأبی حنیفةؒ
যার সারমর্ম হলো ছহিহ মত হলো ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে
তাফসীরের কিতাব,ফিকাহ এর কিতাব অজু
ছাড়া স্পর্শ করা মাকরুহ নয়, বরং জায়েজ আছে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ
وقد
جوّز أصحابنا مس كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً،
ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً''۔(1/177۔دارالفکر)
সারমর্মঃ জুনুবি ব্যক্তির জন্য তাফসীরের কিতাব স্পর্শ করা
জায়েজ আছে।
''مراقی
الفلاح'' :
''قوله
: ( إلا التفسير ) في الأشباه: وقد جوّز بعض أصحابنا مسّ كتب التفسير للمحدث ولم
يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً۔
وفي الجوهرة: كتب التفسير وغيرها لا يجوز مس مواضع القرآن منها وله أن يمس
غيرها''۔(1/95)
সারমর্মঃ আমাদের কিছু ফুকাহায়ে কেরামগন জুনুবি ব্যাক্তির জন্য তাফসীরের কিতাব স্পর্শ
করা জায়েজ বলেছেন।
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/33557/
,
হযরত আশরাফ আলী থানভী রহঃ বলেন যে যদি সেখানে কুরআনের
আয়াত ব্যাতিত অন্য শব্দই বেশি থাকে,তাহলে তো
একেবারেই কোনো সমস্যা নেই,জায়েজ আছে।
তবে সরাসরি কুরআনের
আয়াতের উপর হাত রাখবেননা। (ইমদাদুল ফাতওয়া ১/৯৩, জামিউল ফাতওয়া ৩/
২৩৪)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তাওযীহুল কুরআন পড়া
যাবে। তবে উত্তম হলো পূর্ণ পাক-পবিত্র হয়ে পড়া।
২. জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অযু থাকলে আয়াত স্পর্শ বা
আয়াত খাতায় লিখা যাবে। তবে উত্তম হলো
পূর্ণ পাক-পবিত্র হয়ে কুরআন তেলাওয়াত করা।
৩.
হ্যাঁ,
এই তাফসীরের কিতাব অজু ছাড়া পড়া যাবে, তবে সরাসরি
কুরআনের আয়াত যেখানে আছে, তার উপরে হাত রাখবেননা।