আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in পবিত্রতা (Purity) by (73 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন ০১। জুনুবি ব্যক্তি আয়াত বা হাদিস বা তাফসির আছে এরকম বইয়ের আয়াত বা হাদিস বা তাফসির নেই এরকম স্থানে ধরতে পারবেন কি?
প্রশ্ন ০২। জুনুবি অবস্থায় কুরআন হাদিস স্ক্রীনে থাকা অবস্থায়।মোবাইল ধরতে বা স্ক্রীনে হাত দিতে পারবেন কি?

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, জুনুবি অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই। 
,
হায়েজ,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। 

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
,
★তাফসিরের কিতাব যেখানে আয়াতের তুলনায় তাফসীরই বেশি,সেটি পড়া স্পর্শ করা জায়েজ আছে 
তবে তাফসীরের যেই স্থানে আয়াত লেখা আছে,সেই আয়াত স্পর্শ করবেনা।

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 143908201123 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ   
وقد جوّز أصحابنا مس كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً''۔(1/177۔دارالفکر)
সারমর্মঃ
জুনুবি ব্যাক্তির জন্য তাফসীরের কিতাব স্পর্শ করা জায়েজ আছে।    

''مراقی الفلاح''  :
''قوله : ( إلا التفسير ) في الأشباه: وقد جوّز بعض أصحابنا مسّ كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً۔ وفي الجوهرة: كتب التفسير وغيرها لا يجوز مس مواضع القرآن منها وله أن يمس غيرها''۔(1/95)
সারমর্মঃ
আমাদের কিছু ফুকাহায়ে কেরামগন  জুনুবি ব্যাক্তির জন্য তাফসীরের কিতাব স্পর্শ করা জায়েজ বলেছেন।  
আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বই যদি এমন হয় যে সেটি কুরআনের ব্যাখ্যা গ্রন্থ,তাহলে জুনুবি অবস্থায় যেখানে আয়াত নেই,সেই স্থান ব্যাতিত অন্য স্থান স্পর্শ করতে পারবে।
কুরআন শরিফ হলে স্পর্শ করা জায়েজ হবেনা।
তাফসীর ও হাদীস বা এ জাতীয় কিতাব/বই যদি হয়,তাহলে আয়াত,রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম লেখা স্থান স্পর্শ করা যাবেনা।  
অন্যান্য স্থানে স্পর্শ করা যাবে।  

(০২)
মোবাইল ধরতে পারবে।
তবে স্ক্রীনে হাত দিতে পারবেনা।
তবে হাদীসের কিতাব হলে আয়াত,আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম না থাকা স্থানে স্কীনের উপর স্পর্শ করা যাবে। 
তবে সতর্কতাই কাম্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 252 views
0 votes
1 answer 115 views
...