আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ।
শেষ বৈঠকে শাহাদাহ আঙুল কাপালে (মানে শুধুমাত্র "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু" এর সময় একবার উঠানো নয় অনবরত আঙুল কাপাতে থাকা) সেটা কি পুরো বৈঠক জুড়ে করতে হবে মানে দোয়ায়ে মাসুরা পর্যন্ত করতে হবে নাকি কেবল তাশাহুদ এর পুরোটা সময় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/15989/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَعَدَ فِي التَّشَهُّدِ، وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى، وَعَقَدَ ثَلَاثَةً وَخَمْسِينَ، وَأَشَارَبِالسَّبَّابَةِ.

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ যখন নামাযের বৈঠকে বসতেন, তখন উনি উনার বাম হাতকে বাম উড়ুর উপর রাখতেন। এবং ডান হাতকে ডান উরুর উপর রাখতেন। এবং তিপ্পান্ন গিড়ায় হাতের আঙ্গুলিকে বাধতেন। এবং শাহাদত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ-৯০৬)

মোল্লা আলী ক্বারী রাহ, وَعَقَدَ ثَلَاثَةً وَخَمْسِينَ তথা হাতের অঙ্গুলিকে কোন পদ্ধতিতে বাধতে হয়,তার ব্যাখ্যা করে তিনটি পদ্ধতি উল্লেখ করে তৃতীয় নাম্বার পদ্ধতিকে উত্তম আখ্যা দিয়েছেন,

وَالثَّالِثُ: أَنْ يَقْبِضَ الْخِنْصَرَ وَالْبِنْصِرَ، وَيُرْسِلَ الْمُسَبِّحَةَ، وَيُحَلِّقَ الْإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى، كَمَا رَوَاهُ وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ اهـ، وَالْأَخِيرُ هُوَ الْمُخْتَارُ عِنْدَنَا،

তৃতীয় পদ্ধতি হল, খিনছার (কনিষ্ঠা) অঙ্গুলি এবং বিনছির (খিনছারের পাশের অঙ্গুলি) কে ভাজ করা হবেস এবং শাহাদত অঙ্গুলিকে ছেড়ে দেয়া হবে। এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা হালকা বানানো হবে।

মোল্লা আলী কারী রাহ আরো লিখেন,

وَعِنْدَنَا: يَرْفَعُهَا عِنْدَ لَا إِلَهَ، وَيَضَعُهَا عِنْدَ إِلَّا اللَّهُ لِمُنَاسَبَةِ الرَّفْعِ لِلنَّفْيِ، " وَمُلَاءَمَةِ " الْوَضْعِ لِلْإِثْبَاتِ، وَمُطَابَقَةً بَيْنَ الْقَوْلِ وَالْفِعْلِ حَقِيقَةً

হানাফি মাযহাব মতে তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করা হবে (এবং এটা সুন্নত)।এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলা হবে। যাতে      করে 'না' এর সময় 'হ্যা' হয়। অর্থাৎ যখন লা-ইলাহা (কোনো মা'বুদ নাই)বলা হবে,তখন শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করে বুঝানো হবে যে, অবশ্যই  একজন আল্লাহ রয়েছে। এবং যখন ইল্লাহ তে আসা হবে, তখন আর উত্তোলনের প্রয়োজন নেই বিধায় অঙ্গুলিকে নামিয়ে ফেলা হবে।

অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখা হবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

নামাজের প্রথম বৈঠক ও শেষ বৈঠকে তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত আঙ্গুলি উত্তোলন করা সুন্নাত। সহজ ভাষায় শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলনের পদ্ধতি হল-

পদ্ধতি হলঃ সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গুলি এবং তার পাশের অঙ্গুলি কে হাতের তালুর সাথে মিলিয়ে রাখা হবে এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা গোল করে হালকা বানাবে। অতপর 'আশহাদু আল-লা-ইলাহা' পড়ার সময়ে অঙ্গুলিকে উত্তোলন করবে। (কেননা আশহাদু আন-লা-ইলাহা এর অর্থ হলো, কোনো মা'বুদ নাই। তাই অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে বুঝাবে আমার আক্বিদা বিশ্বাসে শুধুমাত্র একজন মা'বুদ রয়েছেন এবং তিনি হলেন,  আমার আল্লাহ) এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলবে। অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 110 views
...