আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম,,
পরিচিত একজনের হয়ে প্রশ্ন করা।।উনার স্বামী ফোনে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে মেসেজ করেন কোন নির্দিষ্ট মেয়ে না যে পরকীয়া বা ভালোবাসা থেকে মেসেজ করছে।অনেক মেয়ের সাথে মেসেজ করে বলতে সেক্সুয়াল চ্যাট করে।এটা তার ফ্যান্টাসি থেকে করে। এখন তার স্ত্রী এ ব্যাপারে জেনে যয়।।এবং সে অনেক কষ্ট পায়।।তাদের সম্পর্ক ভাঙার কাছাকাছি। তার স্ত্রী এটা কোনভাবে মেনে নিতে পারছে না।।দুটি সন্তান আছে, এদের কথা চিন্তা করে উনার প্রশ্ন ছিলো এমন,,

"",কোন স্বামী যদি মোবাইলে  অন্ন্য মেয়ের সাথে সেক্সুয়াল চ্যাট করে। বউ সেটা জেনে যাওয়ার পর তার সাথে আর বডি রিলেশন এ যেতে চাচ্ছে না।। এখন স্বামী তাকে বিছানায় ডাকলে বউ যদি না যায়, এতে সেই বউ এর কি পাপ হবে??একটা হাদিস আছে, স্বামী প্রয়োজনে ডাকলে চুলায় রান্না থাকলেও চুলা বন্ধ করে স্বামীর কাছে যেতে হবে।।  এক্ষেত্রে করনীয় কি??

*স্ত্রী র এ অবস্থায় করনীয় কি আসলে??ইসলামিক বিধান অনুসারে?উনি খুব ই ভেঙে পড়েছে স্বামীর এ চরিত্রের দিকটা দেখে।উনার জন্য বিষয় ্টা সহজে মেনে নেওয়া অনেক কঠিন।

দয়াকরে সুন্দর উওর দ্বারা এ পরিস্থিতি তে কিভাবে কি করনীয়,, উনি কিভাবে নিজেকে শান্ত করবেন,বুঝাবেন যদি বলতেন তবে অনেক বেশি উপকৃত হতো।।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন, যেসব কারণে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে তা হলোঃ-

★যদি কোনো বাস্তবসম্মত কারণে উভয়ের পক্ষে একসঙ্গে বসবাস করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে।

★যদি স্বামীর মাঝে দৈহিক এমন ত্রুটি থাকে, যার কারণে দাম্পত্যজীবনের স্বাভাবিকতা খুবই দুরূহ হয়ে যায়। যেমন—পাগল হওয়া, যৌন অক্ষম হওয়া, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হওয়া। 
বলা বাহুল্য, স্বামীর মাঝে উক্ত ত্রুটিগুলো থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে ভালোভাবে রাখা সম্ভব নয়।

★স্বামী স্ত্রীর আবশ্যকীয় জরুরত তথা ভরণ-পোষণ দিতে অক্ষম হলে। কেননা, এটা স্ত্রীর মৌলিক অধিকার। 

★শরিয়ত নির্দেশিত কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া বা জুলুম করা।

এটা শারীরিকভাবেও হতে এবং মানসিকভাবে হতে পারে। যেমন—স্ত্রীকে মারধর করা, গালাগাল করা, স্ত্রীকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে বাধা প্রদান করা, বেপর্দা কিংবা হারাম কাজে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করা। 

★স্বামীর মধ্যে দ্বিনদারির প্রতি অবহেলা চরম পর্যায়ের হলে। যেমন—নামাজ না পড়া, মদ পান করা, পরকীয়া কিংবা চারিত্রিক অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মূল বিষয় হলো সেই স্ত্রী কি এভাবে তার স্বামীর সাথে ঘর সংসার চালিয়ে যেতে চায়?
নাকি বিবাহ বিচ্ছেদ চায়?

যদি তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ চান,সেক্ষেত্রে তার জন্য তালাক চাওয়া জায়েজ আছে।

আর যদি তিনি এভাবেই তার স্বামীর সাথে ঘর সংসার চালিয়ে যেতে চান,স্বামীর বাসাতেই থাকেন,স্বামী হতে ভরনপোষণ নেন,
সেক্ষেত্রে স্বামী তাকে বিছানায় ডাকলে শরয়ী ও বিশেষ ওযর ব্যাতিত স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দিলে স্ত্রীর গুনাহ হবে।

হাদীস শরীফে আছে,

إذا دعا الرجل زوجته لحاجته فالتأته، وإن  كانت على التنور

স্বামী যখন নিজ প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকবে তখন সে যেন তাতে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলায় (রান্নার কাজে) থাকে (জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬০; সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ৮৯৭১)।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...