ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
https://ifatwa.info/58872/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا
تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ
تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ
اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে
গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ
এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম
দয়ালু। (সুরা নিসা ২৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ
عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا
يَحِلُّ مَالُ امْ رِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ
فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা
করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো
জন্য হালাল নয়। (আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২)টাকা ধার নিয়ে পরে ভুলে
যাওয়া, এটি মারাত্মক অপরাধ।
ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে মারা গেলে কতবড় সমস্যা হবে,তাহা নিম্নের
হাদীস গুলো থেকে প্রতিয়মান হয়।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ
ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলে (কিয়ামতের দিন) তার ঋণ পরিশোধ করার জন্য কোনো দিনার বা
দিরহাম (টাকা-পয়সা) থাকবে না; বরং পাপ ও নেকি অবশিষ্ট থাকবে।’
(মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ২২২২)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি
তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করেছে, সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে
নেয় তার ভাইয়ের পক্ষে তার কাছ থেকে পুণ্য কেটে নেওয়ার আগেই। কারণ সেখানে কোনো দিনার
বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে তাহলে তার (মজলুম) ভাইয়ের গুনাহ
এনে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৫)
শহীদ হলেও ঋণের গুনাহ মাফ হয় না : রাসুল (সা.) ইরশাদ
করেছেন,
‘শহীদ ব্যক্তির সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। কিন্তু ঋণ ছাড়া।’ (মুসলিম,
হাদিস : ১৮৮৬)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল
(সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের আত্মা তার ঋণের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকে,
যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস
: ১০৭৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী আপনার স্ত্রী যদি খুশী মনে তার মোহরানার টাকা
আপনাকে ধার হিসেবে প্রদাণ করে আপনার জন্য তা গ্রহণ করা জায়েয আছে। তবে অবশ্যই তা
যথা সময়ে পরিশোধ করতে হবে। কারণ, উক্ত টাকার মালিক আপনার স্ত্রী।