আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
287 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘাম এবং প্রশ্রাবের থেকে মেশক আম্বরের গন্ধ বের হতো তা কি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত??

সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম দের কথা কি আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা কোরআনে বলেছেন নির্দিষ্ট করে??

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি বৈশিষ্ট্য এই ছিল যে, তাঁর শরীর মুবারক ও ঘাম অত্যন্ত সুরভিপূর্ণ ছিল। এ বিষয়ে কয়েকটি হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল। 

হযরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘ্রাণ মেশক-আম্বরের সুঘ্রাণ থেকে অধিক সুবাসিত পেয়েছি। (সহীহ মুসলিম ২/২৫৭; সহীহ বুখারী ১/৫০৩; সুনানে দারেমী ১/৩৪) 

হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সুলাইম রা.-এর ঘরে (দুপুর বেলা) ঘুমালেন। উম্মে সুলাইম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘাম নিয়ে শিশিতে সংরক্ষণ করলেন এবং ঘরের সুগন্ধির সাথে মিশিয়ে রাখলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, কী করছ? তিনি বললেন, আপনার ঘাম আমাদের আতরের সাথে মিশিয়ে রাখছি। কেননা, তা সকল আতরের চেয়ে অধিক সুবাসিত। (সহীহ মুসলিম ২/২৫৭) 

হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘাম এত সুবাসিত ছিল যে, তিনি কোনো পথ অতিক্রম করার পর অন্য কোনো ব্যক্তি যদি ওই পথ অতিক্রম করত তাহলে সে বুঝতে পারত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই পথ অতিক্রম করেছেন। [সুনানে দারেমী ১/৩৪; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ১৪০৫৩]


(২)
কুরআনে সাহাবীদের ফযিলত অনেক আয়াতে এসেছে।তবে নাম উল্লেখপূর্বক একজন সাহাবীর নামই শুধু এসেছে।তিনি হলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পালকপুত্র যায়েদ ইবনে হারেছা রাযি।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللَّهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَاهُ فَلَمَّا قَضَى زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُونَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَرَجٌ فِي أَزْوَاجِ أَدْعِيَائِهِمْ إِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًا وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا
আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে।(সূরা আহযাব-৩৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...