আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
১.আমি নুরুন্নাহার। বয়স (২৩)। একজন মহিলা।

আমি যেনা করেছি যার সাথে যদিন যেনা করেছি তার পরের দিনই তার সাথে আমার বিয়ে হয়ে যায়। আমি সঠিক জানতাম না আমি প্রেগনেন্ট কি না। তবে প্রেগনেন্ট না হয় যাতে তার জন্য পিল বা ঔষধ খেয়েছিলাম। আমি যদি পরে জানতে পায় আমি প্রেগনেন্ট তাহলে কি বিয়ে টা সহিহ হবে?

২.স্বামী যদি তার স্ত্রী কে বলে তুমি মুক্ত, তুমি স্বাধীন,তোমাকে মুক্ত করে দিলাম, স্বাধীন করে দিলাম। কোন তালাকের নিয়ত ছাড়া তাহলে কি তালাক হবে?

আমি ফাতেমা।
আমি জানতে চাই যে স্বামী যদি এমনিতেই বলে স্ত্রী কে তোমাকে বাপের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আসি বা অন্য কোথায়,অথবা যাও তোমার হাত বা শরীরের কোন ছেড়ে দিলাম সেটা স্বাভাবিক কথা হিসেবে তাহলে কোন সমস্যা আছে?
ছেড়ে দিলাম কথা টা স্ত্রী কি কিভাবে বললে তালাক পতিত হয়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেনঃ- 

الْوَلَدُ لِلْفَرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ»

সন্তান বিছানার মালিকের; আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। আর পরকালে তাদের হিসাব আল্লাহর হাতে।
(তিরমিজি ৩০৭৩)

فتاوی ہندیہ:
لَا تَجِبُ الْعِدَّةُ عَلَى الزَّانِيَةِ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى كَذَا فِي شَرْحِ الطَّحَاوِيِّ."
( كِتَابُ الطَّلَاقِ، الْبَابُ الثَّالِثَ عَشَرَ فِي الْعِدَّةِ، ١ / ٥٢٦، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ-
যেনা কারী নারীর উপর ইদ্দত নেই।
এটাই ইমাম আবু হানিফা রহঃ ও ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর মত। 

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع:
وَلَا عِدَّةَ عَلَى الزَّانِيَةِ حَامِلًا كَانَتْ أَوْ غَيْرَ حَامِلٍ؛ لِأَنَّ الزِّنَا لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ ثُبُوتُ النَّسَبِ.
( كتاب الطلاق، فَصْلٌ فِي تَوَابِعِ الطَّلَاقِ، ٣ / ١٩٢، ط: دار الكتب العلمية)
সারমর্মঃ-
যেনা কারী নারীর উপর ইদ্দত নেই।
চাই সে গর্ভবতী হোক,বা গর্ভবতী না হোক।
কেননা যেনার দ্বারা বংশ সাব্যস্ত হয়না।

★যেনা কারী নারীর উপর শরীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে ইদ্দত আবশ্যক নয়। তবে এক্ষেত্রে সেই যেনাকার পুরুষ ব্যাতিত অন্যত্রে সেই যেনাকারী নারীর বিবাহ হলে একবার হায়েজ অতিক্রম করার পূর্বে সহবাস করার অনুমতি নেই।

আর যদি সেই যেনাকারী নারীর গর্ভে বাচ্চা থেকে থাকে,সেক্ষেত্রে বাচ্চা প্রসবের আগ পর্যন্ত তার সাথে সহবাস করার অনুমতি নেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

(০২)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
reshown by
যেহেতু যার সাথে যেনা করেছি তাকেই বিয়ে করেছি তাই সহবাস করতে তো বাধা নাই  অপেক্ষা তো করতে হবে না?
by (565,890 points)
এক্ষেত্রে সহবাস করতে কোনো বাধা নেই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...