আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আইওএম এ ভর্তির সময় ভর্তিফর্মে একটা শর্ত থাকে যে,বৈধ অভিভাবকের অনুমতি আছে কিনা?আমি ভর্তির সময় তাদের কাছে অনুমতি চাইলে আমার একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ার বাহানায়/আশংকায়  তারা অনুমতি দেননি।অনেক বোঝানোর পরেও,জোরাজোরি করেও লাভ হয়নি।তারা আসলে দ্বীনি শিক্ষার  ব্যাপারে পুরাই উদাসীন। পরে বাধ্য হয়ে তাদের অনুমতি ছাড়াই ভর্তি হয়েছি,একাডেমিক পড়াশোনার তেমন ক্ষতি হচ্ছেনা, আলহামদুলিল্লাহ। তারা আমাকে ভালো একটা অ্যামাউন্ট হাত খরচ দেয়,তার একটা অংশ থেকে এখানে পেমেন্ট করি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অনুমতি ছাড়া তাদের টাকা দিয়ে আমার এখানে পড়া জায়েজ কিনা? এতে আমার কোনো গুনাহ হচ্ছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/1893 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 

জ্ঞানার্জন সম্পর্কে অসংখ্য আয়াত এবং হাদীসে তাগিদ এসেছে। আপাতত আপনাদের সামনে একটি হাদীস উল্লেখ করছি।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ : ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲِّ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪِ ﻭﺳﻠَّﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝَ : ( ﻃَﻠَﺐُ ﺍﻟﻌِﻠْﻢِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔٌ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ) . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ( 224 )
জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।এখন প্রশ্ন হল কতটুকু জ্ঞানার্জন একজন মুসলমানের উপর ফরয? এ সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রাহ,বলেনঃ
لَا شَكَّ فِي فَرْضِيَّةِ عِلْمِ الْفَرَائِضِ الْخَمْسِ وَعِلْمِ الْإِخْلَاصِ؛ لِأَنَّ صِحَّةَ الْعَمَلِ مَوْقُوفَةٌ عَلَيْهِ وَعِلْمِ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ وَعِلْمِ الرِّيَاءِ؛ لِأَنَّ الْعَابِدَ مَحْرُومٌ مِنْ ثَوَابِ عَمَلِهِ بِالرِّيَاءِ، وَعِلْمِ الْحَسَدِ وَالْعُجْبِ إذْ هُمَا يَأْكُلَانِ الْعَمَلَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ، وَعِلْمِ الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ وَالنِّكَاحِ وَالطَّلَاقِ لِمَنْ أَرَادَ الدُّخُولَ فِي هَذِهِ الْأَشْيَاءِ
দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ফারাইয(ভিত্তি) তথা কালেমা,নামায,রোযা,হজ্ব,যাকাত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন ফরয। এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। কেননা উপরোক্ত ফারাইযের উপর আমল করা সে সম্পর্কে জানাশোনা এবং হালাল-হারাম ও রিয়া সম্পর্কে জানাশোনার উপর নির্ভরশীল। কারণ এবাদত কারী রিয়ার কারণে তার কৃত আমলের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।
এবং হিংসা-নিন্দা ও অন্যর ভালোতে  অপচন্দনীয় মনোভাব সবই আ'মলের সওয়াব বিনষ্টকারী।
এমনভাবে যে,যেমনভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে দেয়। এবং ক্রয়-বিক্রয় ও বিবাহ-তালাকে প্রবেশকারী ব্যক্তিবর্গের জন্য সে সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ফরয।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, তারা আপনাকে ভালো একটা অ্যামাউন্ট হাত খরচ দেয়,তার একটা অংশ থেকে আপনি এখানে পেমেন্ট করেন।

তারমানে আপনি মিথ্যা বলে বা ধোকা দিয়ে তাদের থেকে টাকা নিচ্ছেননা,সুতরাং তাদের টাকা দিয়ে আপনার এখানে পড়া নাজায়েজ হবেনা,বরং এটা বৈধ। এতে আপনার গুনাহ হবেনা।

তবে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম পূর্ণ ভাবে না মানার অপরাধ আপনার হবে।

এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...