আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার ট্যাক্স রিবেট নেয়ার জন্য সঞ্চয়পত্র কিনতে হয়েছে। এবং যার ইন্টারেস্ট ৩ মাস পর পর আমার একাউন্ট এ জমা হয়।
আমি হিসাব করে রাখছি, যে কোণ জনকল্যান মুলক কাজে/গরিব দের সওয়াব এর উদ্যেশ্য ছাড়া দান করে দিব।
এমতাবস্তায় আমার এক বন্ধু গতকাল তার বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা সাহায্য চায়। আমি কি আমার সঞ্চয়পত্রের ইন্টারেস্ট এর টাকা তাকে দিতে পারি?

আমার আর কি কি বিষয় নিইয়ে ভাবতে হবে, দয়া করে জানাবেন।
উল্লেখ্য,
- সে নিজে ভাড়া বাসায় থাকে।
- ২ বোন অবিবাহিত, বৃদ্ধ মা, ভাই (নেশা করে মনে হয়, কিন্তু কোন কাজ করে না।), ভাই বউ সহ পরিবার এর খরচ সেই বহন করে।
- কিন্তু যেহেতু সে বাইরে যাওয়ার টাকা যোগার করতে পারতেসে,আমার ধারনা নাই যে সে কিভাবে ম্যানেজ করতেছে
- আমাকে বলেছে যে, তার তো উপার্জন বন্ধ, একটা ভিসা/ওয়ার্ক পার্মিট পেয়েছে যেটা সে তিন কিস্তিতে দিবে। এমবস্তায় প্রথম কিস্তির যে খরচ সেটাই সে বিভিন্ন ভাবে মেনেজ করতেসে।
- আমি ঢাকা চাকরি করি, সে থাকে সিলেটে তাই আমি এর বেশি জানি না বা তার পরিবারের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।
- এই টাকা যদি তাকে করজে হাসানা হিসাবে ও দেই, তা ও আমি নিশ্চিত না কবে টাকাটা ফেরত দিবে।
যদি শরিয়ত আমাকে এলাও করে, তাহলে আমি এই সঞ্চয় পত্রের ইন্টারেস্ট/সুদ/প্রফিট এর টাকা দিতে চাই।
জানাবেন প্লিজ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/71830/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।

আরো জানুনঃ- 

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
 (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(মাআরিফুস সুন্নাহ ১/৩৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকেন (অর্থাৎ সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপার সমমূল্যের {আনুমানিক ৭৩৫০০ টাকার} মালিক হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে উক্ত হারাম টাকা দেয়া যাবেনা।

আর যদি সে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে উক্ত হারাম টাকা দেয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম, 
জাজাকাল্লাহু খাইরান। 

কিছু সম্পুরক প্রশ্নঃ 
১। যিনি সাহায্য চেয়েছেন, সে তো বলেছিলো তার কাছে জমা টাকা নাই। সবই ধার দেনা করে ম্যানেজ করতেছে বাইরে যাওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে তার কথার উপর ভিত্তি করে কি আমি তাকে দান করতে পারি ? 
২। নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক অনেকে সোনা দিয়ে হিসাব করে, কোনটা সঠিক। 

দয়া করে জানাবেন। 
জাজাকাল্লাহু খাইরান। 

by (565,890 points)
(০১)
সে যত টাকা জমা দিয়েছে,তার মধ্যেও কি তার কোনো নিজস্ব মালিকানাধীন টাকা ছিলোনা?

যদি না থাকে,সেক্ষেত্রে তার কথার উপর ভিত্তি করে তাকে আপনি সদকাহ করতে পারেন।তবে এক্ষেত্রে তার কথা সন্দেহ মূলক মনে হলে যাচাই-বাছাই করে টাকা দিবেন।

(০২)
যদি শুধুমাত্র স্বর্ণ থাকে,সেক্ষেত্রে স্বর্ণ ফিয়ে হিসাব করতে হবে।

অন্যথায় গরিবদের লাভের দিকে তাকিয়ে রুপা দিয়ে হিসাব করারই কথা ফাতওয়ার কিতাবে এসেছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...