আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
988 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
দামী কোন পন্য কিনার সময় কোম্পানী প্রায়ই কিস্তিতে মুল্য পরিশোধের সুযোগ দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সামান্য ইন্টারেস্ট থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে ০% ইন্টারেস্টে। প্রশ্ন হল যেখানে মুল দামের চেয়ে সামান্য বেশি মুল্যে পন্য কিনা হয় (কিস্তিতে পরিশোধের কারনে), যাকে কোম্পানি ইন্টারেস্ট বলে, সেটা কি শরিয়ত অনুযায়ী 'রিবা' হয়?
অনেকে 'ইন্টারেস্ট' শুনেই এটাকে সুদ ভাবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, এক্ষেত্রে তো আমি কিস্তিতে মুল্য পরিশোধের কারনে সেই পন্যের জন্য বাড়তি দাম দিচ্ছি। এটা কি বৈধ? এভাবে পন্য কিনলে কি এটা হারাম লেনদেন হবে? ব্যাখ্যা করলে কৃতজ্ঞ থাকবো

1 Answer

+2 votes
by (707,280 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/10844 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)

হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন,  ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
বাকীতে বেশী মূল্যে কোনো জিনিষ ক্রয় বিক্রয় করা নাজায়েয নয়। বরং জায়েয হবে। এটাকে সুদ বলা যাবে না। এটার নাম সুদ বা ইন্টারেষ্ট দিলেও তা সুদ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...