ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা কখনো মাতাপিতার অগোচরে বিয়ের পরামর্শ দেবো না। বরং সর্বদাই বলে থাকি যে, মাতাপিতাকে সাথে নিয়েই বিয়ে করুন। যেভাবে মাতাপিতার অগোচরে বিয়ে করা সন্তানের জন্য উচিৎ নয়, ঠিকতেমনি সন্তানের পছন্দ-অপছন্দের প্রতি বে-খেয়াল ও অমনোযোগী হওয়াও উচিৎ নয়। এমনকি সাবালক মেয়ের সন্তুষ্টি ব্যতিত বিয়েটাও বৈধ হবে না।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মাতাপিতাকে ইসলামী বিধান ও দ্বীনদারিত্ব সম্পর্কে অবগত করুন।তাদেরকে আপনার পরকাল সম্পর্কে অবগত করুন।যদি নিজে আপনি আপনার মা বাবাকে বলতে না পারেন,তাহলে পরিচিতজন বা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে অবগত করুন।আপনার পছন্দের কথাটিও তাদেরকে বলুন,
মা বাবাকে এ সম্পর্কে অবগত করার পরও যদি তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে আপনারা বিয়ে করতে পারবেন। আপনাদের বিয়ে বিশুদ্ধ হবে।তবে মাতাপিতাকে সাথে বিয়ে করাটাই সর্বোত্তম।
দ্বীনদারিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18