আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  আমাদের বিয়ে টা বাবা মা কে না জানিয়ে হয় যার কারণে পরবতী তে আমার বাবা যখন জানতে পারে তখন আমার বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এই বিয়ে টা  মানতে চাচ্ছে না।  তো...  আমার স্বামী তার এক বন্ধুর পরামর্শে এক হুজুর এর কাছে যায় হুজুর বা কবিরাজ ধরনের হবে যিনি বান মারা বা জাদু কাটানোর ব্যবস্থা করেন এমন একজনের কাছে আমার স্বামী গেছেন।  তার কাছে তদবির চেয়েছেন এই সাহায্যে যাতে করে আমার বাবা সুস্থ হয়ে যায় এবং আমাদের বিয়ে টা মেনে নেয়।  এই জন্য কিছু তদবির চেয়েছেন হুজুরের কাছে।  হুজুর দোয়া পড়িয়ে দিয়েছে এবং সাথে কিছু খাবার যেমন সরিষার তেল, মিষ্টি, লবণ তারপর সুরমা এগুলো দিয়েছেন ২১ দিন খাবারের সাথে মিক্সড করে আব্বু কে খাওয়ানের জন্য।  আমি বুজতে পারছিনা এটা কুফরি নিয়মে করা নাকি আল্লাহর কালাম প্রয়োগ করে করা।
যদি আল্লাহর কালাম প্রয়োগ করে এভাবে ২১ দিন খেতে বলে তাহলে কি এটা ইসলামি শরীয়া সম্মত হবে..? আর আমি তো ওখানে ছিলামনা কাজ টা কি নিয়মে করেছে যে যাচাই করবো তাই বুজতে পারছিনা।  ইসলামে এই ধরনের তদবির করা কি জায়েজ আছে..? কোনো হারাম  বা শির্ক হচ্ছে না তো..? যদিও আমার স্বামীর হুজুর বা কবিরাজের কাছে যাওয়ার  উদ্দেশ্য মঙ্গল চাওয়ার জন্য ছিলো, তো জীবনের এইরকম সমস্যার কারণে হুজুরের কাছে যাওয়া সমস্যা বলা তদবির নেওয়া এসব নিয়ে প্লিজ বিস্তারিত বলেন হুজুর প্লিজ। খুব চিন্তা হচ্ছে আমার ভয় ও লাগছে এতে আল্লাহ নারাজ হবেন কিনা, ইসলামে এটা বৈধ কিনা।
আপনা বিস্তারিত মতামত আর সাহায্য আশা করছি।

জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://www.ifatwa.info/4313 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে   যে,
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/226

সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে সরিষার তেল, মিষ্টি, লবণ ইত্যাদিতে বৈধ কালাম দ্বারা ঝাড়ফুঁক করিয়ে নিয়ে খাওয়ানো যাবে।

নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বৈধ কালাম দ্বারা ঝাড়ফুঁক জায়েয।তবে অবৈধ কালাম দ্বারা হলে অবশ্যই নাজায়েয।

যদি কোন কবিরাজ কুফরি শিরকির মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকে, সেই সম্পর্কে আপনার জানা থাকে,তাহলে এটা আপনার জন্য জায়েয হবে না। 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে সরিষার তেল, মিষ্টি, লবণ ইত্যাদিতে বৈধ কালাম দ্বারা ঝাড়ফুঁক করিয়ে নিয়ে খাওয়ানো যাবে।

এখন এখানে বৈধ কালাম দ্বারা ফুঁক দেয়া হয়েছিলো কিনা, জানতে আপনার স্বামীর মাধ্যমে উক্ত কবিরাজ থেকে শুনে নিতে হবে। 

★পিতার অসুস্থ হলে তার সুস্থতার জন্য এরকম কিছু করা যাবে।
তবে পিতা মাতাকে কষ্ট দিয়ে বিবাহ করে এভাবে পিতাকে বশে আনার জন্য কিছু করার অনুমতি নেই।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...