জবাবঃ-
দ্বীন-শরীয়ত সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখে এবং i.o.m এর প্রতি আশ্বস্ত দেখে আমরা যারপরনাই আনন্দিত।আল্লাহ পাক আপনাকে দ্বীনের উপর সর্বদা অঠল-অবিচল থাকার তৌফিক দান করুক।আ'মলী জিন্দেগি গঠন করার তৌফিক দান করুক।সেই প্রত্যাশা ও কামনা আমরা হৃদয়ে লালন করি।
অবহেলাকারী ছাত্রের উপর আর্থিক জরিমানা ধার্য করা জায়েয নয়; চাই জরিমানার অর্থ প্রতিষ্টানের ফান্ডে জমা রাখা হোক বা ভাল ছাত্রদেরকে দিয়ে দেয়া হোক কিংবা দান করে দেয়া হোক। কেননা আর্থিক জরিমানার মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার অধিকার শুধুমাত্র আইনানুগ শাসকের কিংবা তার স্থলাভিষিক্ত বিচারক ও কর্মকর্তাদের। উপরন্তু, আলেমদের মাঝে মূলত: আর্থিক জরিমানার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া জায়েয কিনা তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
মূল বিধান হচ্ছে–
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের সম্পদকে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হারাম।যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، بَيْنَكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ مِنْهُ»
“নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]
সৌদী আরবের ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, এক গোত্রের কিছু লোক এই মর্মে একমত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কিছু কিছু বিষয়ে লিপ্ত হবে তার উপরে কিছু আর্থিক জরিমানা ধার্য করা কি জায়েয হবে?
জবাবে তাঁরা বললেন: “এ ধরণের পদক্ষেপ নাজায়েয। কেননা এটি এমন লোকদের পক্ষ থেকে আর্থিক জরিমানা ধার্য করা, যারা আইনগতভাবে (শরিয়ত মোতাবেক) সে ক্ষমতা রাখে না। বরং এ ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে- বিচার বিভাগ। তাই, এ ধরণের জরিমানা প্রত্যাহার করা কর্তব্য।”[ফাতাওয়াল লাজনাহ্ আদ্ দায়িমা (১৯/২৫২)]আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আর্থিক জরিমানা নাজায়েয ও হারাম।তবে iom যা করছে সেটা হারাম হবে না।কেননা iom আর্থিক জরিমানা নির্ধারণ করছে না।বরং IOM এর নিয়ম হচ্ছে, মাসের 10 তারিখের ভিতরে বেতন পরিশোধ না করলে ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল পূর্বক সমস্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয়া।পরবর্তীতে ভর্তি প্রক্রিয়াকে আবার রিনিউ করতে হলে ১০০ টাকা জমা দিয়ে বেতন পরিশোধ করা।
এ নিয়মে মূলত আর্থিক জরিমানা হচ্ছে না।বরং বেতন পরিশোধ না করার জন্য ভর্তি বাতিল করা হচ্ছে।এ অধিকার অবশ্যই প্রতিষ্টানের রয়েছে।এবং ভর্তি রিনিউ বাবৎ কিছু ফিস নির্ধারণ করার অধিকারও প্রতিষ্টানের রয়েছে।
সুতরাং iom যা করছে,সেটা আর্থিক জরিমানা হচ্ছে না।তাই এ নিয়ম নাজায়েযের আওতাধীন হচ্ছে না।
আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা নিয়ম বলে দিয়েছি।ইনশা'আল্লাহ ই-মেইল সহ যাবতীয় প্রসেস সংশেধনীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।জাযাকুমুল্লাহ।
চলবে......