বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/52051/
নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি
সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ
يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا
عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ
أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ
فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ
إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ
آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না
তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন
ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,
(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর
খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। (২)অথবা, তাদেরকে বস্তু
প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।
(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা
কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা
কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা মায়েদা-৮৯)
কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার
প্রথমটি হল, ১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্র পরিধান করানো। খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,
১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে
যাবে। দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা। তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।
কসমের প্রকার সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/22859/
উল্লেখ্য যে,কসম শুধুমাত্র আল্লাহর নাম দ্বারাই হয়ে থাকে।এবং কুরআন যেহেতু আল্লাহর
কালাম, তাই কুরআন দ্বারাও কসম হবে।
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/579
আপনি বর্তমানে মধ্যম মানের গমের আটার আধা সা'(=১.৬৫০গ্রাম) এর মূল্য যা হয় (হয়তো ১১০ টাকার মত হতে পারে) একটা
ফিতরার পরিমাণ। এর কম-বেশীও হতে পারে। তাহলে
সেই হিসেবে একটা কাফফরার মোট পরিমাণ ১১০০ টাকা হচ্ছে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১-৩. এটা কসম হবেনা। ফলে প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে কাফফারা দেওয়া লাগবে না। তবে এভাবে আল্লাহ তাআলার কাছে ওয়াদা করে বা প্রতিশ্রুতি
দিয়ে তা ভঙ্গ করা ঠিক নয়। সুতরাং পরবর্তীতে এরকম আর করবেন না।
৪,৬. না মনে মনে
কসম করলে কসম হয় না। তাই এক্ষেত্রে কাফফারা দেওয়া লাগবে না।
৫. আরো বিস্তারিত বললে আরো বিস্তারিত
উত্তর দেওয়া সম্ভব হতো। তবে এরকম অভ্যাস পরিত্যাগ করবেন। যে কোনো জায়গায় কসম
করবেন না।