আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আমি ফোনে ভিডিও দেখতাম, দেখার পরে খারাপ লাগতো কেন দেখলাম। এই ভিডিও দেখা বন্ধ করার জন্য একদিন আল্লাহর কাছে কান্না করে বলেছিলাম, আল্লাহ আমি কথা দিতেছি একাধারে ১৫ দিন ব্লগ ভিডিও দেখবো না।
তারপর একদিন ভুলে একটা ভিডিও চালু করছিলাম তারপর মনে হওয়ার সাথে সাথে অফ করে দেই। চালু করার আগে আমার মনে ছিলো না আমি যে কথা দিছি।এরকম করে ভুলে ৪ বার হয়েছে ভিডিও অন হইছে।
আমার এই কথা দেওয়া কি কসমের অন্তর্ভুক্ত হবে?  আমাকে কি ৪ বার কাফফারা আদায় করতে হবে?

২।কেও যদি বলে আল্লাহ আমি ওয়াদা করতেছি এটা আর করবো না, তাও ভুলে করে ফেলে( মনে ছিলো না ওয়াদা করেছে যে) তখনও কি এটা কসম হয় আর এর জন্য কাফফারা দিতে হবে?

৩।আরেকদিন ও এরকম কথা দিচ্ছি এরকম ভিডিও দেখবো না বলেছিলাম তাও দেখে ফেলছি।মনে ছিলো না কথা দিয়ে ছিলাম যে।এটার জন্য ও কাফফারা আসবে?

৪।কেও যদি মনে মনে আল্লাহর কসম এই শব্দের পরে কিছু করার কথা বলে তাহলে কি তা পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়। নাকি জোরে উচ্চারণ করে বলার পরে ওয়াজিব হয়?

৫।আমার প্রায় সময় শয়তানের ওয়াসোওয়াসায় আল্লাহর কসম/ওয়াল্লাহি এই শব্দ আসে, কিন্তু সব কসম পূরণ করা সম্ভব হয় না। আমি যদি পূরণ না করি গুনাগার হবো?

৬।মনে মনে কসম করলে কসম ওয়াজিব হয়?

সব গুলি প্রশ্ন সুন্দর করে বুঝিয়ে দিবেন প্লীজ।অনেক পেরেশানিতে আছি।

জাযাকিল্লাহু খইরান

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/52051/ নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, (১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। (২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। (৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা মায়েদা-৮৯)


কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল, ১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্র পরিধান করানো। খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে, ১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা। তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।

কসমের প্রকার সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/22859/


উল্লেখ্য যে,কসম শুধুমাত্র আল্লাহর নাম দ্বারাই হয়ে থাকে।এবং কুরআন যেহেতু আল্লাহর কালাম, তাই কুরআন দ্বারাও কসম হবে।

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/579


 আপনি বর্তমানে মধ্যম মানের গমের আটার আধা সা'(=১.৬৫০গ্রাম) এর মূল্য যা হয় (হয়তো ১১০ টাকার মত হতে পারে) একটা ফিতরার পরিমাণ। এর কম-বেশীও হতে পারে।  তাহলে সেই হিসেবে একটা কাফফরার মোট পরিমাণ ১১০০ টাকা হচ্ছে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১-৩. এটা কসম হবেনা। ফলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কাফফারা দেওয়া লাগবে না। তবে এভাবে আল্লাহ তাআলার কাছে ওয়াদা করে বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করা ঠিক নয়। সুতরাং পরবর্তীতে এরকম আর করবেন না।

,৬. না মনে মনে কসম করলে কসম হয় না। তাই এক্ষেত্রে কাফফারা দেওয়া লাগবে না।

৫. আরো বিস্তারিত বললে আরো বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হতো। তবে এরকম অভ্যাস পরিত্যাগ করবেন। যে কোনো জায়গায় কসম করবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
৫ নং প্রশ্নের বিস্তারিত 
আমি সীরাহ তে পড়েছি ওয়াল্লাহি বা আল্লাহর কসম,তো মনে বার বার এই দুইটা শব্দ আসতে থাকে। এখন এই দুইটা শব্দের পরে কোন কাজ করার কথা বলে সে না করলে কি কাফফারা আসবে?

এগুলো আমি বলতে চাই না তাও মনে আসে।আর সব মনে মনেই হয়, জোরে না।

এখন ওই কাজ গুলো কি করা জরুরি, না করলে কাফফারা আসবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...