বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
গরীব অভাবী সাহায্য করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।এমনকি ক্ষেত্রভেদে তা ওয়াজিব/ফরয পর্যায়ে চলে যায়।
গরীবদের কে সাহায্য-সহায়তা করা সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻟَّﻴْﺲَ ﺍﻟْﺒِﺮَّ ﺃَﻥ ﺗُﻮَﻟُّﻮﺍْ ﻭُﺟُﻮﻫَﻜُﻢْ ﻗِﺒَﻞَ ﺍﻟْﻤَﺸْﺮِﻕِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ ﻭَﻟَـﻜِﻦَّ ﺍﻟْﺒِﺮَّ ﻣَﻦْ ﺁﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠّﻪِ ﻭَﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺍﻵﺧِﺮِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻶﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺁﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺎﻝَ ﻋَﻠَﻰ ﺣُﺒِّﻪِ ﺫَﻭِﻱ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰ ﻭَﺍﻟْﻴَﺘَﺎﻣَﻰ ﻭَﺍﻟْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦَ ﻭَﺍﺑْﻦَ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞِ ﻭَﺍﻟﺴَّﺂﺋِﻠِﻴﻦَ ﻭَﻓِﻲ ﺍﻟﺮِّﻗَﺎﺏِ ﻭَﺃَﻗَﺎﻡَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓَ ﻭَﺁﺗَﻰ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺍﻟْﻤُﻮﻓُﻮﻥَ ﺑِﻌَﻬْﺪِﻫِﻢْ ﺇِﺫَﺍ ﻋَﺎﻫَﺪُﻭﺍْ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﺑِﺮِﻳﻦَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒَﺄْﺳَﺎﺀ ﻭﺍﻟﻀَّﺮَّﺍﺀ ﻭَﺣِﻴﻦَ ﺍﻟْﺒَﺄْﺱِ ﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺻَﺪَﻗُﻮﺍ ﻭَﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻤُﺘَّﻘُﻮﻥَ
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
-সূরা বাকারা ১৭৭
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন,
ﻓَﻠَﺎ ﺍﻗْﺘَﺤَﻢَ ﺍﻟْﻌَﻘَﺒَﺔَ
অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺩْﺭَﺍﻙَ ﻣَﺎ ﺍﻟْﻌَﻘَﺒَﺔُ
আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?
ﻓَﻚُّ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ
তা হচ্ছে দাসমুক্তি
ﺃَﻭْ ﺇِﻃْﻌَﺎﻡٌ ﻓِﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﺫِﻱ ﻣَﺴْﻐَﺒَﺔٍ
অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান।
ﻳَﺘِﻴﻤًﺎ ﺫَﺍ ﻣَﻘْﺮَﺑَﺔٍ
এতীম আত্বীয়কে
ﺃَﻭْ ﻣِﺴْﻜِﻴﻨًﺎ ﺫَﺍ ﻣَﺘْﺮَﺑَﺔٍ
অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে
-সূরা বালাদ ১১-১৬
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর কসম ঐ ব্যক্তি মুমিন নয়, আল্লাহর কসম ঐ ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না; যে তৃপ্তির সাথে পেট ভরে ভক্ষণ করে অথচ প্রতিবেশী ক্ষুধার কষ্ট ভোগ করে।(তবারানী, কাবীর হাদীস ৭৫১)
অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
আবু যার! যখন তুমি ঝোল-তরকারী রান্না কর তখন কিছুটা পানি বাড়িয়ে দাও। অতঃপর সেখান থেকে কিছু অংশ তোমার প্রতিবেশীদের ঘরে পাঠিয়ে দাও।(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২৫)
অন্য এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,
এতীম ও বিধবাদেরকে রক্ষণাবেক্ষণকারীরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মতো।(সহীহ বুখারী হাদীস ৫৩৫৩, সহীহ মুসলিম হাদীস ২৯৮২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
যদি উক্ত সংস্থা সমূহ শুধুমাত্র সাহায্য সহায়তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।এই সাহায্য-সহায়তার আড়ালে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজ বা অপরাধ মূলক কাজে জড়িত না থাকে তাহলে সে সমস্ত সংস্থার সদস্য হওয়া যাবে।
আল্লাহ তা'আলা-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ