আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
১) বিতির নামাজে সালাম ফেরানোর সময়❝ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ❞ এর জায়গায় মনে হলো পড়লাম ❝আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাত্বুল্লহ❞

মানে রহমাতুল্লহ তে তা এর জায়গায় ত্ব উচ্চারণ করেছি এরকম মনে হলো, নামাজ হবে?


২)যদি কখনো মনে হয় রুকু করিনি নামাজে, তখন শেষ বৈঠকে দুই সিজদাহ দেওয়ার পরেই বসে আত্তাহিয়াতু না পড়ে, উঠে আগে রুকু করে নিই। তবে সেই রুকুতে আমি একেবারে সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে যেভাবে উঠেছি সেভাবেই বাঁকাভাবে রুকুতে চলে যাই। এরকম করলে কি নামাজ হবে? এর আগে অসংখ্য নামাজে এমন রুকু না করার ওয়াসওয়াসা আসায় এমনটিই করেছি।


৩) সাহু সিহজদাহ তে দুই সিজদাহ দেওয়ার পর শুধু আত্তাহিয়াতু পড়ে দুই দিকে সালাম ফেরালে নামাজ হবে কি? যদি দুরুদ দুয়া মাসুরা না পড়ি।


৪) কিছু নামাজে এমন হয়েছে যে, দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদাহ দেওয়ার নিয়ত করেছি মানে দুইটা সিজদাহ দেব, কিন্তু নামাযে দুইদিকে সালাম ফিরানোর পর দুই সাহু সিজদাহ না দিয়েই আত্তাহিয়াতু শুরু করে দিই, অতঃপর মনে হয় যে একটা সাহু সিজদাহ ও দিইনি, তখন সাথে সাথে দুই সাহু সিজদাহ দিয়ে নামাজ শেষ করি, তাহলে নামাজ হবে কি?

মূলত এটাও ওয়াসওয়াসার কারণেই যে নামাজে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু দুই সিজদাহ না দিয়েই আত্তাহিয়াতু শুরু করে এবং তারপর দুই সিজদাহ দিয়ে দুই দিকে সালাম ফেরান।
এমন টা করার কারণে আমার আগের নামাজ গুলো কি হয়েছে?


৫) সাহু সিজদাহ দেওয়ার পর দুই সালাম ফেরানোর আগে আত্তাহিয়াতু পড়া কি ওয়াজিব?

৬) আমি বিশ্বাস করি আল্লহ আরশের মুখাপেক্ষী নন। কিন্তু ❝আরশ সৃষ্টির পূর্বে আল্লহ কোথায় ছিলে তা আমি জানিনা❞, এ কথাতে কি ঈমান রাখা যাবে?

৭)(অনেকে মনে করে, আল্লাহ তাআলার অবস্থান সম্পর্কে আকিদা হচ্ছে দুটি। হয় তিনি সর্বত্র বিরাজমান অথবা তিনি আরশের ওপর আছেন। অথচ এই টাই ভ্রান্ত মারাত্মক কুফরি আকিদা। এ দুটির বাহিরেও যে সঠিক ও জুমহুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আরেকটি আকিদা আছে, তা মনে হয় অনেকে জানেনই না। আর তা হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনো তিনি তেমনই আছে।


এটাই সহিহ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা)
সংগৃহীত


উস্তাদ এই আকিদা কি ঠিক আছে? থাকলে কুরআনে সূরা ইউনুসের ৩ নং আয়াতে কেন বলা হল,  অতঃপর আল্লাহ আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন? তাহলে কি সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বেও তিনি আরশের উপরেই ছিলেন? আরশ তো সৃষ্টি করেছেন তিনিই তাই না?

৮) আরশ আগে পানির উপরে ছিল আর এখন আকাশের উপরে।এই কথা কি ঠিক?

৯) মানুষ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগেই তাকদীর মানে জন্ম, মৃত্যু,বিয়ে সকল কিছু লিখা হয়েছে তাহলে সূরা আন'আমের ২ নং আয়াতে  ❝তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর প্রত্যেকের একটি মৃত্যুর সময় নির্ধাধাণ করা হয়েছে❞ এমনটা বললো কেন?


মেহেরবানি করে উস্তাদ সকল প্রশ্নের উত্তর দেবেন, সাহায্যের মুহতাজ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...