আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্।

১)নামাজ পড়তে ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে নামাজ  মিস হলে তো যখন স্মরণ হবে বা জাগ্রত হবো তখনি নামাজ পড়তে হয়।এক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ওয়াক্ত হলে কি তখনও সাথে সাথে পড়তে হবে,নিষিদ্ধ ওয়াক্তেই?নাকি নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শেষে পড়তে হবে?

২)আমাদের পরীক্ষা চলছে।আমার এক ফ্রেন্ডকে জোহরের ওয়াক্ত শুরুর সময় বাসা থেকে বের হতে হয়।আমাদের পরীক্ষা ২ টা থেকে ৩.৩০ টা।ও কিভাবে জোহর পড়তে পারে।কাজা করলে গুনাহ হবে কি?

৩)আমার ভাইয়ের বয়স ৯ বছর।ও মোবাইলে গেমস খেলার জন্য আবদার করে।আমি কি আমার ফোনে গেমস ডাওনলোড করে ওকে খেলতে দিতে পারি?আমি নিজে যদি না খেলি।ছোট ভাই,অনেক করে চায়।না করতে খারাপ লাগে।বলে অল্প সময় খেলবে।কোনো পাবজি, ফ্রি ফায়ার, বা এ ধরণের কিছু না দিয়ে যদি বাবল মেলানো, বা দৌড়াদৌড়ির মতো গেম দেই
by (26 points)
অনুগ্রহ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন।
জাযাকাল্লাহ খায়ের 

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6279নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফজরের নামাযের সময়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবায়ে কেরাম রাযি এর ঘুমের কিচ্ছা সম্ভলিত বর্ণনা। যখন সাহাবায়ে কেরাম ঘুম থেকে উঠার পর পরস্পর কানে কানে বলেছিলেন-
ٍ" ﻣَﺎ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓُ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﻨَﺎ ﺑِﺘَﻔْﺮِﻳﻄِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻼﺗِﻨَﺎ " ﻓﻘَﺎﻝَ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ : " ﺃَﻣَﺎ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﺗَﻔْﺮِﻳﻂٌ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻔْﺮِﻳﻂُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳُﺼَﻞِّ ﺍﻟﺼَّﻼﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺠِﻲﺀَ ﻭَﻗْﺖُ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ﻓَﻤَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴُﺼَﻠِّﻬَﺎ ﺣِﻴﻦَ ﻳَﻨْﺘَﺒِﻪُ ﻟَﻬَﺎ ."
আমরা আমাদের নামায সম্পর্কে যে সীমালঙ্ঘন করেছি,সম্ভবত সেটা কোনো কাফফারা হবে না।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ঘুমের মধ্যে কোনো সীমালঙ্ঘন নেই।সীমালঙ্ঘন তো হল সেই ব্যক্তির ব্যাপারে যে নামায পড়ল না অথচ আরেকটি নামাযের ওয়াক্ত তার সামনে চলে আসল।সুতরাং যে ব্যক্তি নামাযের সময়ে ঘুমিয়ে থাকবে, যখনই সে জাগ্রত হবে তখনই যেন সে নামাযকে পড়ে নেয়।(সহীহ মুসলিম-৬৮১)

https://www.ifatwa.info/1604 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফজরের সুন্নত ও ফরয ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামায পড়া যাবে না,পড়লে মাকরুহ হবে।তবে এ সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৪২২)
কেননা কা'যা নামাযের কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।শুধুমাত্র তিনটি হারাম সময় ব্যতীত।এগুলো হলো,সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত ও যাওয়াল তথা সূর্য মধ্য আকাশে অবস্থানের সময়। কেননা এ সময় ওয়াক্তিয়া ও কা'যা সকল প্রকার ফরয কিংবা নফল  নামায পড়া নিষিদ্ধ।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাজ পড়তে ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে নামাজ  মিস হলে তো যখন স্মরণ হবে বা জাগ্রত হবো তখনি নামাজ পড়তে হয়।এক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ওয়াক্ত হলে তথা সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং সূর্য মধ্যখানে হলে তখন কিন্তু পড়া যাবে না।এছাড়া পড়া যাবে।

(২)
জোহরের ওয়াক্ত প্রায় ১১:৩০ পরেই শুরু হয়ে যায় সুতরাং উনি বাসা থেকে বের হওয়ার পূর্বে জোহর পরেই বাসা থেকে বের হবেন।

(৩)
ফটো ও মিউজিক, এবং কার্টুন ব্যতিত অন্য কোনো গেইম দিতে পারেন।তবে যাতে বেশ আসক্ত হয়ে না পরে, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (696,320 points)
+1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...