১) বিতির নামাজে সালাম ফেরানোর সময়❝ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ❞ এর জায়গায় মনে হলো পড়লাম ❝আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাত্বুল্লহ❞
মানে রহমাতুল্লহ তে তা এর জায়গায় ত্ব উচ্চারণ করেছি এরকম মনে হলো, নামাজ হবে?
২)যদি কখনো মনে হয় রুকু করিনি নামাজে, তখন শেষ বৈঠকে দুই সিজদাহ দেওয়ার পরেই বসে আত্তাহিয়াতু না পড়ে, উঠে আগে রুকু করে নিই। তবে সেই রুকুতে আমি একেবারে সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে যেভাবে উঠেছি সেভাবেই বাঁকাভাবে রুকুতে চলে যাই। এরকম করলে কি নামাজ হবে? এর আগে অসংখ্য নামাজে এমন রুকু না করার ওয়াসওয়াসা আসায় এমনটিই করেছি।
৩) সাহু সিহজদাহ তে দুই সিজদাহ দেওয়ার পর শুধু আত্তাহিয়াতু পড়ে দুই দিকে সালাম ফেরালে নামাজ হবে কি? যদি দুরুদ দুয়া মাসুরা না পড়ি।
৪) কিছু নামাজে এমন হয়েছে যে, দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদাহ দেওয়ার নিয়ত করেছি মানে দুইটা সিজদাহ দেব, কিন্তু নামাযে দুইদিকে সালাম ফিরানোর পর দুই সাহু সিজদাহ না দিয়েই আত্তাহিয়াতু শুরু করে দিই, অতঃপর মনে হয় যে একটা সাহু সিজদাহ ও দিইনি, তখন সাথে সাথে দুই সাহু সিজদাহ দিয়ে নামাজ শেষ করি, তাহলে নামাজ হবে কি?
মূলত এটাও ওয়াসওয়াসার কারণেই যে নামাজে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু দুই সিজদাহ না দিয়েই আত্তাহিয়াতু শুরু করে এবং তারপর দুই সিজদাহ দিয়ে দুই দিকে সালাম ফেরান।
এমন টা করার কারণে আমার আগের নামাজ গুলো কি হয়েছে?
৫) সাহু সিজদাহ দেওয়ার পর দুই সালাম ফেরানোর আগে আত্তাহিয়াতু পড়া কি ওয়াজিব?
৬) আমি বিশ্বাস করি আল্লহ আরশের মুখাপেক্ষী নন। কিন্তু ❝আরশ সৃষ্টির পূর্বে আল্লহ কোথায় ছিলে তা আমি জানিনা❞, এ কথাতে কি ঈমান রাখা যাবে?
৭)(অনেকে মনে করে, আল্লাহ তাআলার অবস্থান সম্পর্কে আকিদা হচ্ছে দুটি। হয় তিনি সর্বত্র বিরাজমান অথবা তিনি আরশের ওপর আছেন। অথচ এই টাই ভ্রান্ত মারাত্মক কুফরি আকিদা। এ দুটির বাহিরেও যে সঠিক ও জুমহুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আরেকটি আকিদা আছে, তা মনে হয় অনেকে জানেনই না। আর তা হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনো তিনি তেমনই আছে।
এটাই সহিহ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা)
সংগৃহীত
উস্তাদ এই আকিদা কি ঠিক আছে? থাকলে কুরআনে সূরা ইউনুসের ৩ নং আয়াতে কেন বলা হল, অতঃপর আল্লাহ আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন? তাহলে কি সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বেও তিনি আরশের উপরেই ছিলেন? আরশ তো সৃষ্টি করেছেন তিনিই তাই না?
৮) আরশ আগে পানির উপরে ছিল আর এখন আকাশের উপরে।এই কথা কি ঠিক?
৯) মানুষ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগেই তাকদীর মানে জন্ম, মৃত্যু,বিয়ে সকল কিছু লিখা হয়েছে তাহলে সূরা আন'আমের ২ নং আয়াতে ❝তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর প্রত্যেকের একটি মৃত্যুর সময় নির্ধাধাণ করা হয়েছে❞ এমনটা বললো কেন?
মেহেরবানি করে উস্তাদ সকল প্রশ্নের উত্তর দেবেন, সাহায্যের মুহতাজ।