জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি শরয়ী সফরের দুরত্বে কোথাও যায়,এবং সেখানে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করে,তাহলে সে নিজ নিজ গ্রাম,বা নিজ শহরের সীমানা পার হওয়ার পর থেকেই মুসাফির বলে গন্য হব,তা সে কসর নামাজ পড়বে।
,
মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে পড়তে হয়।অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে।দুই রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে। এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে কোনো কসর নেই।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি বাহনে থাকা অবস্থায় আপনার নিজ শহরের সীমানা,বা নিজ গ্রামের সীমানা ছেড়ে থাকেন,তাহলে সেখানে কসরের নামাজ পড়বেন।
,
যানবাহনে নামাজ আদায় করা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
পূর্বে ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে তার জন্য জামাআতের সহিত নামাজ পড়াই উত্তম,এতে অধিক ছওয়াব হবে।
,
তাই অধিক ছওয়াবের জন্য জামাআতে শরীক হতে পারেন,সেক্ষেত্রে যদি ইমাম মুকিম হয়,তাহলে আপনাকে পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে।
আর ইমাম মুসাফির হলে তো আপনি কসরের নামাজও পড়বেন।
জামাআতে শরীক না হয়ে অন্য কোথাও একাকী নামাজও পড়তে পারেন।
তবে জামাআতে নামাজ পড়াই উত্তম।
,
আপনার সম্মুখেই যদি জামাআত চলে,আর আপনি যদি একাকী নামাজ পড়েন,তাহলে সেটি জায়েজ নেই।
এতে আপনার গুনাহ হবে।
(০৩)
বিতির নামায ওয়াজিব।বিতিরে কসর প্রযোজ্য নয়।এবং পরিত্যাগ করাও যাবে না।বরং সফরের হালতেও বিতির নামাযকে পড়তে হবে।
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৪/৩৩১