হাদীস শরীফে এসেছে
عن خريم بن فاتك : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم من أنفق نفقة في سبيل الله كتبت له بسبعمائة ضعف
অনুবাদ-হযরত খুরাইম বিন ফাতেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন কিছু খরচ করে তা তার আমলনামায় ৭ শত গুণ হিসেবে লেখা হয়।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৬২৫
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৬৪৭
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৫
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯০৩৬
মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-২২৭
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৯৭৭০
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২৯৪)
,
উক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে জিহাদের ফাজায়েল সম্পর্কে।
,
★এই জীহাদের হাদিসগুলো কি দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কিনা এই ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
,
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেন যে প্রচলিত তাবলীগের ব্যপারে এসব হাদীস দিয়ে দলিল দেওয়া যাবেনা।
এটি জিহাদের সংজ্ঞায় পড়েনা,
তাই তাবলীগে উক্ত ফাজিলত পূর্ণ হাদীস বলা যাবেনা।
দাওয়াত মূলক অনেক হাদীস আছে,সেগুলো বলতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে বর্তমান যামানায় দীনের প্রচার-প্রসার ও বে-দীনীর প্রতিরোধ তাবলীগের মাধ্যমে দ্রুত কার্যকর হচ্ছে। অন্যদিকে জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হচেছ আল্লাহর কালিমা বূলন্দ করা এবং আল্লাহর দীন প্রতিষ্টা করা। কাফের হত্যা করা, বে-দীনের খতম করা জিহাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। বরং তারা আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের পথে বাধা, তাই বাধা দুর করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে তাদেরকে খতম করা ফরজ করা হয়েছে।
সেই প্রেক্ষিতে জিহাদের যে মূল লক্ষ্য, দা‘ওয়াত ও তাবলীগের সেই একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। উক্ত লক্ষের বাস্তবায়নের জন্যই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ অনুযায়ী দীনের দা’ওয়াত নিয়ে তাবলীগের নামে সমগ্র বিশ্বে ঘোরাফেরা করা হচ্ছে। সে জন্য জিহাদের ব্যাপারে যে সব ফজীলত বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো তাবলীগের ব্যাপারেও প্রযোজ্য হবো।
এখানে প্রশ্নে উল্লেখিত সওয়াব গুলো আসলে জিহাদের ফজীলতের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, তথাপিও সেগুলো তাবলীগের ব্যাপারে বয়ান করতে কোন অসুবিধা নেই। এ ব্যাপারে হক্কানী উলামায়ে কিরাম ঐক্যমত পোষণ করেন।
এটাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরামদের মত।