জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এ সংক্রান্ত আমল জানুনঃ-
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَشْيَاءَ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ " .
রাবী ‘ইবন সুলায়মান মুআযযিন (রহঃ) ............. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সাওয়াব মৃত্যুর পরেও বন্ধ হবে না। ১. সাদকায়ে জারিয়া, ২. ঐ ‘ইলম, যা দিয়ে উপকার করা যায় এবং ৩. ঐ নেক সন্তান, যে তার পিতার জন্য দু‘আ করে।
(আবু দাউদ ২৮৭০)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে
নিশ্চয়ই মানুষ যখন মারা যায় তখন তার ‘আমালের সাওয়াব আর লেখা হয় না, কেননা সাওয়াব মূলত তার ‘আমালের বদলা আর তা ব্যক্তি মারা যাওয়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সর্বদাই কল্যাণকর ও উপকারী কাজের বদলা চলতে থাকে।
যেমন- কোন কিছু ওয়াকফ করে যাওয়া,মসজিদ,মাদ্রাসা,হাসপাতাল,রাস্তা,ড্রেন,ব্রিজ ইত্যাদি নির্মান করা। অথবা শারী‘আতী বিদ্যা লিখে যাওয়া অথবা শিক্ষা দিয়ে যাওয়া বা ব্যবস্থা করে যাওয়া অথবা সৎ সন্তান রেখে যাওয়া। সৎ সন্তান মূলত ‘আমালেরই আওতাভুক্ত, কেননা পিতাই মূলত সন্তানের অস্তিত্বের কারণ ও তাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে সৎ করে তোলার কারণ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি চাইলে মসজিদে কুরআন/ফ্যান/এসি/ ইত্যাদি ওয়াকফ করে দিতে পারেন। কোথাও কোনো মসজিদ মাদ্রাসা নির্মানে টাকা দিতে পারেন। যেই মাদ্রাসায় কিতাব ওয়াকফ করে দিতে পারেন।
কোনো জনগনের পানি পানের লক্ষে কোথাও টিউবওয়েল বসিয়ে দিতে পারেন।
(০৩)
দোয়া কবুল হওয়া মূল বিষয়।
উক্ত দোয়া দ্রুত কবুল হওয়া চাওয়া যাবেনা।
(০৪)
নেকীর কাজ করে যাবেন,ইনশাআল্লাহ পূর্বের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতিপূরণ হবে,ইনশাআল্লাহ।
(০৫)
এখানে ক্ষমা চাওয়ার বিষয় আসেনা।
মুলত আপনার কথায় এমন কথায় আপনার মা অনেক কষ্ট পেয়েছে।
সুতরাং আপনি মায়ের কাছে গিয়ে বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝাবেন,বলবেন যে আপনি এমনিতে বলেছিলাম। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার আহবান জানাবেন।
(০৬)
এতো দীর্ঘ সময় প্রিপারেশন এর প্রয়োজন নেই।
এটা অনেকটা বাড়াবাড়ি।
তদুপরি গুনাহ মুক্ত থেকে ৫ মাসের মতো অপেক্ষা করলে সেটা নাজায়েজ হবেনা
তবে উপযুক্ত পাত্র মিলে গেলে দেড়ি করা যাবেনা।
কেননা সেক্ষেত্রে দ্রুত বিবাহ দেয়ার তাগিদ মেয়ের বাবার উপর শরীয়তের পক্ষ থেকে আছে।