আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু:

আমরা তিনজন মিলে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি (ওয়েস্ট এ)। মূলত বাসাটা আমি ভাড়া নিয়েছি, আর আমরা এখানে পাঁচ মাস ধরে আছি। ম্যানেজমেন্ট জানে যে আমরা দুজন আছি, কিন্তু আরেকজনের কথা তারা জানে না। ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে আমরা তিনজন মিলে থাকছি।

গত এক মাস আগে আমাদের একজনের পা ভেঙে যায়। পা ভেঙে যাওয়ায় সে বাসার পড়ার চেয়ার ব্যবহার করতো চলাচলের জন্য। গত এক মাস আমি কিছুই বলিনি যে চেয়ার ব্যবহার কইরো না। একদিন বলেছিলাম যে, "তুমি যে চেয়ার ব্যবহার করছো, ফ্লোরে দাগ পড়ে গেলে ম্যানেজমেন্ট দেখতে পেলে যা এডভান্স দিয়েছি তা সব কেটে রাখবে। তাই একটা কার্পেট কিনে তার উপর দিয়ে ব্যবহার করো।" সে বলেছিল যে চেয়ার আর ব্যবহার করবে না। আমিও আর কিছু বলিনি।

কিছুদিন আগে আমাদের নিচে যে থাকে, সে আমার কাছে অভিযোগ করেছে যে এত আওয়াজ কেনো, আওয়াজ রাত ১১/১২ টায়ও শোনা যায়। আমি সরি বলে আসছি আর বলেছি যে আর হবে না।

আমি তারপর যার পা ভাঙা তাকে বলেছি, সে বলেছে যে সে আর ব্যবহার করবে না। আর দুই মাস পর চলে যাবে। কিন্তু তার চলাচলের জন্য তো স্ক্র্যাচ ব্যবহার করতে হয়। এটা  আমরাও জানি যে কিছু না কিছু তো ব্যবহার করতেই হবে, না হলে তো আর চলতে পারবে না। কিন্তু তারপরও আওয়াজ হয়। যেহেতু সে রাত ১১/১২টার দিকে রান্না করতে যায়, খায় ইত্যাদি ইত্যাদি।

এখন আমাদের নিচে যারা থাকে তারা যদি ম্যানেজমেন্টের কাছে যায় যে উপর থেকে অনেক শব্দ হয় আর ম্যানেজমেন্ট যদি জানে তাহলে অনেক সমস্যা হবে। তাই আমি আমাদের তিনজনের যে হোয়াটস্যাপ গ্রুপ আছে সেখানে এটা লিখেছি:

"তোমাকে বলেছিলাম কার্পেট কিনো, কার্পেট তো তুমি কিনো নাই। তুমি দুই মাস থাকো আর দুই সপ্তাহ থাকো, কার্পেট কিনো। আর না হলে অন্য কিছু করো যেন নিচে আওয়াজ না যায়। গেলে সমস্যা হবে। যদি তারা অভিযোগ করে, তোমাকে দুই মাসের আগেই বাসা থেকে চলে যেতে হবে।"

"আর ম্যানেজমেন্ট যদি দাগ পড়ার কারণে ফাইন করে, তাহলে তোমার যে সিকিউরিটি ডিপোজিট দেয়া আছে এটা আমি ফিরত দিতে পারব না।"

এখন সে বলছে যে, আমি অমানবিক আচরণ করছি। আমি এভাবে না বললেও পারতাম। বারবার বলি, সে কি ইচ্ছে করে করছে নাকি? ইত্যাদি ইত্যাদি।

হজরত, আমি কি আসলেই এখানে অমানবিক আচরণ করছি? আমার তো ম্যানেজমেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হবে যখন বাসা ছেড়ে দিব। বাসা পাওয়া অনেক কষ্ট।

সে যদি মনে মনে বদদোয়া দেয় তাহলে কি লাগবে? যদিও আমি তাকে মুখে বলেছি, আমি অমানবিক হলে আমি তার কাছে মাফ চাবো। যদিও সে কিছুই বলে নাই।
closed

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَصِفُوۡنَ ﴿۹۶﴾ 
মন্দের মুকাবিলা করুন যা উত্তম তা দ্বারা; তারা (আমাকে) যে গুণে গুণান্বিত করে আমরা সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবগত।
(সূরা মুমিনূন : ৯৬)

এই আয়াতের অর্থ মুহাদ্দিসিনে কেরামগন এইভাবেও করেছেনঃ
‘কেহ যদি তোমার সহিত অন্যায় ব্যবহার করে তুমি সদ্ব্যবহার দ্বারা তাহার প্রতিশোধ লও, তাহা হইলে যাহার সহিত তোমার শত্রুতা আছে সে তোমার পরম বন্ধু হইবে’। 

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,

অর্থাৎ আপনি মন্দকে উত্তম দ্বারা, যুলুমকে ইনসাফ দ্বারা এবং নির্দয়তাকে দয়া দ্বারা প্রতিহত করুন। এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রদত্ত উত্তম চরিত্রের শিক্ষা, যা মুসলিমদের পারস্পরিক কাজ কারবারে সর্বদাই প্রচলিত আছে। 

অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, 
মন্দ প্রতিহত করুন তা দ্বারা যা উৎকৃষ্ট; ফলে আপনার ও যার মধ্যে শক্ৰতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। আর এটি শুধু তারাই প্ৰাপ্ত হবে যারা ধৈর্যশীল। আর এর অধিকারী তারাই হবে কেবল যারা মহাভাগ্যবান।” 
[সূরা ফুসসিলাত: ৩৪–৩৫] 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে এটার দরুন অমানবিক আচরণ হয়নি।

তার বদ দুয়া লাগবেনা,ইনশাআল্লাহ। 

তদুপরি সে যেহেতু মারাত্মক সমস্যার মধ্যে আছে,সুতরাং সে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নেয়াই ভালো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...