আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন মেয়ে।ইউনিভার্সিটি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ভুগতেছি বেশ অনেকদিন ধরে এক বছর গ্যাপও দিয়েছি কিন্তু এখন আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না পরিবারের চাপে এখন দিশেহারা আমি।

ইউনিভার্সিটির ভয়াবহতা নিয়ে যথেষ্ট ধারণা আছে আমার চারিদিকে শুধু ফিতনা,ফ্রিমিক্সিং।এসকল কারণেই আমি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চাইনি।দুর্ভাগ্যবশত আমার কোনো মহিলা ইউনিভার্সিটি কিংবা মহিলা কলেজেও এডমিশন নেওয়া হয়নি।কিন্তু আমার পরিবার এসব মানতে নারাজ তারা অনেক বেশি জোর করছে ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার জন্য। তাদের স্বপ্ন আমাকে স্বনামধন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করানো।তাদেরকে বোঝাতে বোঝাতে আমি ক্লান্ত।এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বাহিরে বের হওয়ার সময় বা গায়রে মাহরামদের সামনে যাওয়ার সময় চেহারা,হাত পা ঢেকে যাওয়া তথা চেহারা ঢেকে যাওয়া, হাত মোজা পা মোজা পরিধান করে যাওয়া আবশ্যক। চেহারা,হাত,পা  প্রকাশ করা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবদুল্লাহ ইবন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
 وَلاَ تَنْتَقِبِ المَرْأَةُ المُحْرِمَةُ، وَلاَ تَلْبَسِ القُفَّازَيْنِ
‘আর ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নিকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।’ (বুখারী : ১৮৩৮)
,
এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, নবী  ﷺ যুগে মেয়েরা তাদের হাত ও চেহারা ঢাকতেন।

আয়েশা রাযি. হজ অবস্থায় মহিলা সাহাবীদের পর্দার যে বিবরণ দিয়েছেন তা থেকে অনুমান করা যায় পর্দা রক্ষায় তাঁরা কতটা আন্তরিক ছিলেন। তাঁরা স্বাভাবিক অবস্থায় তো বটেই ইহরাম অবস্থায় যখন মুখ ঢাকতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানেও পরপুরুষের সামনে থেকে নিজেদের চেহারা আড়াল করেছেন। আয়েশা রাযি. বলেন,

كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهﷺ مُحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ.

‘আমরা ইহরাম অবস্থায় সাল্লাল্লাহু ﷺ-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন আরোহীরা আমাদের সঙ্গে পথ চলছিলেন। যখন তারা আমাদের আড়াআড়ি হন, আমাদের সঙ্গীনীরা তাদের বড় চাদর মাথা থেকে চেহারায় ঝুলিয়ে দেন। তারা আমাদের অতিক্রম করে চলে যাবার পরই আমরা তা উন্মুক্ত করি।’ (আবূ দাঊদ : ৫৩৮১; বাইহাকী : ৩৩৮৮)

আসমা বিনত আবী বাকর রাযি. বলেন, আমরা পুরুষদের থেকে আমাদের চেহারা আবৃত রাখতাম। (মুস্তাদরাক হাকেম : ১৬৬৪)

আরো জানুনঃ- 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. মহিলাদেরকে ইহরাম অবস্থায় চামড়ার মোজা এবং পাজামা পরার অনুমতি দিতেন। তিনি বলেন, ছফিয়্যা রা. চামড়ার মোজা পরিধান করতেন, যা ছিল তাঁর হাটু পর্যন্ত। 
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ১৫৯৬৯,  ১৫৯৬৫)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, মহিলাগণ ইহরাম অবস্থায় হাত মোজা এবং পাজামা পরিধান করতে পারবে। 
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৪৪৪০)

বিখ্যাত তাবেয়ী কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ রাহ. বলেন, ইহরাম গ্রহণকারিনী হাত-মোজা ও পায়জামা পরিধান করবে। 
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৫৯৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সহ শিক্ষার শর্তাবলী মেনে চেহারা,হাত পা ঢেকে পূর্ণ শরয়ী পর্দা করে আপনি লেখাপড়া করতে পারেন।
ফিতনায় জড়িয়ে না পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

বিবাহের পর স্বামীকে বুঝিয়ে এই অবস্থা হতে মুক্তি পেতে পারেন,ইনশাআল্লাহ। 

সহ শিক্ষার শর্তাবলী জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...