জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
হাদীস শরীফে এসেছে
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে।
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে ৫ম দিনে আপনি যে সালাত আদায় করলেন,এটা হায়েজ অবস্থায় সালাত আদায় বলে গন্য হবে।
অনিচ্ছাকৃত ভুলের দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন,আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।
(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার যেহেতু ৫ম এবং ৬ তম দিন হালকা বাদামী বা হলুদাভ ডিসচার্জ থাকে। ৭ম দিনে ফ্রেশ হয়ে যায়।
সুতরাং আপনি ফ্রেশ হয়ে যাওয়ার জন্য ৭ম দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
(০৩)
কোনো রকম স্রাব না আসলে আপনি হায়েজ শেষ হয়েছে বলেই ধরে নিবেন।
কোনো ডিসচার্জ না আসলেও সারাদিন পরে রাতে হালকা বাদামী বা হলুদাভ ডিসচার্জ দেখা গেলে সেক্ষেত্রে পুরোটা সময়েই হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবে।
(০৪)
এক্ষেত্রে আপনি ৬ষ্ঠ তম দিনের জোহরের ওয়াক্ত হতে সালাত আদায় শুরু করবেন।
★মোট কথাঃ হায়েজ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পূর্বের মাস গুলোর হিসাবের ভিত্তিতে আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে ১০ দিনের মধ্যে আবারো হায়েজ আসবেই?
সেক্ষেত্রে আপনি আবারো হায়েজ আসার অপেক্ষা করবেন,সালাত আদায় করবেননা।
এমতাবস্থায় আবারো হায়েজ আসলে সেক্ষেত্রে সেই হায়েজ বন্ধ হওয়ার পর থেকে সালাত আদায় শুরু করবেন।
আর ১০ দিনের মধ্যে হায়েজ আর না আসলে সেক্ষেত্রে যেদিন যেই ওয়াক্ত হতে হায়েজ আসা বন্ধ হয়েছে,সেই ওয়াক্ত হতেই সালাত গুলির কাজা আদায় করে নিবেন।
★হায়েজ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পূর্বের মাস গুলোর হিসাবের ভিত্তিতে আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে আর হায়েজ আসবেনা,সেক্ষেত্রে আপনি তখন থেকে সালাত আদায় শুরু করে দিবেন।
এক্ষেত্রে আবারো হায়েজ আসলে সেক্ষেত্রে মাঝের এই দিন গুলিও হায়েজ হিসেবেই গন্য হবে,সুতরাং এই সালাত গুলি হায়েজ অবস্থায় সালাত আদায় বলে গন্য হবে।
অনিচ্ছাকৃত ভুলের দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন,আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।
আর যদি আবারো হায়েজ না আসে,সেক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যাই নেই,নামাজ চালিয়ে যাবেন।