আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
সম্মানিত উস্তাজ,

আমি একজন অবিবাহিত মেয়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমি জেনারেল পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছি কয়েকমাস আগে। বিভিন্ন কারণে।

মায়ের জন্য প্রথনে ছাড়তে না চাইলেও, পরবর্তীতে আমার প্রচুর বিভিন্ন সমস্যা হয় ( যার জন্য রুকইয়াহ চলছে আলহামদুলিল্লাহ) যার কারণে পড়াশোনায়ও ক্ষতি হয়,  এর ফলে মা ও রাজি হয় জেনারেল ছাড়ার বিষয়ে। এখনও আমার সমস্যা আছে এবং রুকইয়াহ করছি কিছুদিন পর পর পরামর্শ অনুসারে। ইসলামিক বিষয়ে অনলাইনে পড়াশোনা করছি খুব অল্প করে। মা বাবা আমাকে অফলাইনে মাদরাসায় পড়তে দিতে নারাজ। কিন্তু অনলাইনে পড়তে কোনো বাধা দেন না আলহামদুলিল্লাহ।
যদিও মায়ের মনে ইচ্ছে আছে এখনও যাতে আমি জেনারেলে পড়ে অন্তত অনার্স দিই। কিন্তু আমার ওই পরিবেশে এবং ওই অন্তঃসারশূন্য এবং টাইম কনজিউমিং পড়াশোনায় আর ফেরার ইচ্ছে নেই (যেহেতু আমি ছেলে নই যে আয়ের বিষয় থাকবে)। যদিও এখনও সুযোগ আছে আমার সেখানে ফেরার। কিন্তু মা বাবা বা পরিবারের কেউ আমায় জোর করছে বা করবে না ইন শা আল্লাহ  ( মা শা আল্লাহ)।

|| সম্মানিত উস্তাজ,

আমি জানতে চাই যে আমার এখন কি করাটা উত্তম হবে?কিভাবে ইলম অর্জন করাটা উত্তম হবে?

জেনারেল লাইনের যেহেতু,  তাতে ফিরে যাওয়া? ( যদিও আমি সেখানে ফিরতে চাইনা কখনই,ফিরলেও হয়তো আমি থাকতে পারবোনা, তবুও আপনাদের থেকে জানতে চাইছি)

নাকি অনলাইনে ইলম অর্জন করা এবং ঘরে বাবা মায়ের খেদমতে ব্যস্ত থাকা? ( অফলাইনে আমাকে মাদরাসায় দিবে না পরিবার)


[মাফ করবেন উস্তায, আসলে সমস্যায় থাকায় নিজের সিদ্ধান্তের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে পারছিনা। তার ওপর দ্বীনের অবস্থাও ভালো নেই। তাই এখানে পরামর্শ চাওয়া।  যাতে আমি স্থির হতে পারি এক সিদ্ধান্তে এবং এর মধ্যে যে কল্যান আছে সে বিষয়ে ভেতরে সকল সন্দেহ দূর করতে পারি।]


জাঝাকুমুল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যথাসম্ভব জেনারেল শিক্ষা অর্জন করবেন।তবে যদি সম্পূর্ণ অপারগ হয়ে যান, তাহলে ঘরে বসে অনলাইন মাদরাসায় পড়বেন, এবং মা বাবার খেদমত করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...