আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমার শাশুড়ি আমার মায়ের সাথে মোবাইলে খুব অশ্রাব্য কথা বার্তা ও তুই-তোকারি করে কথা বলেন ২০ তারিখে। এই ঘটনার পর আমি যদি মনে কষ্টের কারণে আমার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে কিছুদিন কথা না বলি, তাদের খোঁজ খবর না নেই সেটা কি আমার জায়গা থেকে অন্যায়? (স্বাভাবিক দৃষ্টিতে) আর শরীয়ত অনুযায়ী উনাদের সাথে কথা না বলা কি আমার জন্যে গুনাহের কারণ? আমার গত ২৪ তারিখ শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ঘটনার কারণে আমি আগামী ৫ তারিখ আমার স্বামীর সাথে যাবো ইনশাআল্লাহ। যেতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু  নিজের স্বামীর জন্যে যাচ্ছি। কিন্তু তাও আমার ননাশ আমাকে বলেন আমি যেন আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে কল দেই। কিন্তু ইচ্ছা করছেনা মন থেকে। আমার ননাশ আর স্বামীর দাবি তাদের মা মানসিকভাবে অসুস্থ তাই হুট করে এরকম বাজে আচরণ করেছেন। অথচ উনার সাথে থেকে আমার মনে হয়েছে আমার শাশুড়ি স্বভাবগতভাবেই এমন । আমি উনাদের আগেও বলেছি ভালো চিকিৎসা করাতে। সেটায় উনাদের কারোরই তেমন তৎপরতা দেখিনি। উনার মায়ের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে এসব যে করছেন এসব কি আমার তাই মেনে নেওয়া উচিত?
আর উনাদের বাসায় গেলে আমাকে নিয়ে ও আমার মা বাবাকে নিয়ে উনাদের বিরূপ মন্তব্য/ কথা-বার্তার সময় আমার কেমন আচরণ একজন মুসলিম হিসেবে করা উচিত? উনাদের এমন আচরণের পর আমার যে উনাদের প্রতি সম্মানবোধ ও আন্তরিকতা নষ্ট হয়েছে এটা কি আমার অন্যায়? এর আগে আমি চুপচাপ থাকতাম। শুধুমাত্র একজন মেয়ে দেখে কি আমাকে এসব সহ্য করে নিতে হবে? এসব দেখেও হাসিমুখে তাদের সেবা করতে হবে?

আমার স্বামীকে নিষেধ করেছি উনি যেন উনার মা বাবার সাথে অন্যায় না করেন। কথা না বলে না থাকেন। কারণ তাদের প্রতি আমার স্বামী দায়বদ্ধ। তাও যদি আমার দোষ না থাকা সত্ত্বেও উনি আমাকে মনে মনে দোষী ভাবেন তাহলে কি আমি গুনাহগার হব?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
তিনদিনের অধিক এভাবে শাশুড়ির সাথে পুরোপুরি কথা বলা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপাতত সালাম প্রদানের জন্য হলেও তাকে ফোন দিবেন।

এভাবে দু একদিন পর পর সালামের জন্য হলেও ফোন দিবেন। এক্ষেত্রে আপনি গুনাহ থেকে মুক্ত হবেন।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
edited by
জাযাকাল্লাহু খইরন উস্তাদ। ইনশাআল্লাহ আজ কল দিয়ে কথা বলবো। দয়া করে যদি বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতেন উপকৃত হতাম অনেক। বারবার জিজ্ঞাসা করে আমি বিব্রত তাও একটু জানাবেন প্লিজ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...