আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম।
আমার ছেলের বয়স ৮ বছর ১ মাস চলছে। এই রমজনে সে হাফেজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্।
আমার জানার বিষয় হচ্ছে-

১। আমার ছেলে কি ফরজ, ওয়াজিব বা নফল নামাযে পুরুষ বা মহিলাদের ইমামতি করতে পারবে কি?

২। সে মসজিদে ওয়াক্তের আযান ও ইকামত দিতে পারবে কি?

৩। আমার ছেলের পিছনে মহিলা মানুষ যেমন ওর মা বা এলাকার অন্যরা জামাত করে তারাবি বা যে কোনো নামাজ পড়তে পারবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নাবালকের পিছনে সাবালকদের জন্য ইকতেদা করা সহীহ হবে না।এ নিয়ে যদিও মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মত হল,নাবালকের পিছনে সাবালকদের ইকতেদা বিশুদ্ধ হবে না।ফরয নামাযে ও না এবং নফল নামাযেও না।সুতরাং আপনি আপনার নাবালক ভাইয়ের ইকতেদা করে নামায পড়তে পারবেন না।

لما في الدرالمختار ،ج ١-ص:٥٧٨
(ولا يصح اقتداء رجل بامرأة) وخنثى (وصبي مطلقا) ولو في جنازة ونفل على الأصح
وفي ردالمحتار
(قوله ونفل على الأصح) قال في الهداية: وفي التراويح والسنن المطلقة جوزه مشايخ بلخ ولم يجوزه مشايخنا، ومنهم من حقق الخلاف في النفل المطلق بين أبي يوسف ومحمد. والمختار أنه لا يجوز في الصلوات كلها. اهـ
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1222


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার ছেলে ফরজ, ওয়াজিব বা নফল নামাযে পুরুষ বা মহিলাদের ইমামতি করতে পারবে না।কেননা সে নাবালক।

(২) নাবালক যদি অবু্ঝ হয় তাহলে সে মসজিদে ওয়াক্তের আযান ও ইকামত দিতে পারবে না।মাকরুহ হবে। তবে বু্ঝ রয়েছে, এমন নাবালক আযান ইকামত দিতে পারবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 391):
"(ويجوز) بلا كراهة (أذان صبي مراهق).
(قوله: بلا كراهة) أي تحريمية؛ لأن التنزيهية ثابتة؛ لما في البحر عن الخلاصة: أن غيرهم أولى منهم. اهـ. ح.
أقول: وقدمنا أول كتاب الطهارة الكلام في أن خلاف الأولى مكروه أولا فراجعه.
(قوله: صبي مراهق) المراد به العاقل وإن لم يراهق، كما هو ظاهر البحر وغيره، وقيل: يكره لكنه خلاف ظاهر الرواية، كما في الإمداد وغيره، وعلى هذا يصح تقريره في وظيفة الأذان، بحر"

الفتاوى الهندية (1/ 54):
"أذان الصبي العاقل صحيح من غير كراهة في ظاهر الرواية ولكن أذان البالغ أفضل وأذان الصبي الذي لايعقل لايجوز، ويعاد وكذا المجنون. هكذا في النهاية.

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع (1/ 150):
(منها): أن يكون رجلاً، فيكره أذان المرأة باتفاق الروايات؛ لأنها إن رفعت صوتها فقد ارتكبت معصيةً، وإن خفضت فقد تركت سنة الجهر؛ ولأن أذان النساء لم يكن في السلف فكان من المحدثات، وقد قال النبي صلى الله عليه وسلم: «كل محدثة بدعة»، ولو أذنت للقوم أجزأهم حتى لاتعاد؛ لحصول المقصود وهو: الإعلام.
وروي عن أبي حنيفة أنه يستحب الإعادة وكذا أذان الصبي العاقل، وإن كان جائزاً حتى لايعاد ذكره في ظاهر الرواية؛ لحصول المقصود وهو: الإعلام، لكن أذان البالغ أفضل؛ لأنه في مراعاة الحرمة أبلغ وروى أبو يوسف عن أبي حنيفة أنه قال: أكره أن يؤذن من لم يحتلم؛ لأن الناس لايعتدون بأذانه، وأما أذان الصبي الذي لايعقل فلايجزئ ويعاد؛ لأن ما يصدر لا عن عقل لايعتد به كصوت الطيور"

البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري (1/ 279):
"وأما العقل فينبغي أن يكون شرط صحة؛ فلايصح أذان الصبي الذي لايعقل والمجنون والمعتوه أصلاً، وأما الصبي الذي يعقل فأذانه صحيح من غير كراهة في ظاهر الرواية إلا أن أذان البالغ أفضل، كذا في السراج الوهاج. وفي المجمع: ويكره أذان الصبي ويجزئ، وأطلقه فعلى هذا يصح تقريره في وظيفة الأذان"

(৩) আপনার ছেলে যেহেতু নাবালক,তাই তার পিছনে পুরুষদের জামাত বা মহিলাদের জামাত সবই মাকরুহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 92 views
+1 vote
1 answer 388 views
...