আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,948 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

আমার ছেলের বয়স ৫ বছর ৩ মাস। আমি জেনারেল লাইনের হলেও নিয়্যাত করেছি আমার ছেলেকে আরবী লাইনে পড়াবো। আলহামদুলিল্লাহ ছেলে এখন শুদ্ধভাবে কোরান পড়তে পারে। সুরা ইয়াসিন, সুরা ফাতিহা, শেষের ১০ টি ছোট সুরা সহ নামাজের সকল দোয়া শুদ্ধভাবে পড়তে পারে।
আমার কর্মস্থলের ভিতরে আমাকে ফ্যামিলি নিয়ে থাকতে হয়। প্রজেক্টের ভিতরে সকলের নামাজের জন্য ইমাম সহ মসজিদ আছে। আলহামদুলিল্লাহ কিছুদিন যাবত আমার ছেলে ফযর বাদে বাকি ৪ ওয়াক্ত নামাজের সময় হলে মাইকে আযান দেয় এবং নামাজের সময় ইকামত দেয়।

শায়েখ, এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমার ছেলে যেহেতু এখনো নাবালক, তাই ও কি নামাজের জন্য আযান ও ইকামাত দিতে পারবে।

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


আযান ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দশন-যার মাধ্যমে সালাতের সময়ের হওয়ার কথা মানুষ জানতে পারে।

সুতরাং বুঝমান ও বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন বালক যদি আযান দেয় তাহলে তা সহিহ হবে। এর চেয়ে কম বয়সী শিশুর আজান গ্রহনযোগ্য নয় এবং তা যথেষ্ট হবে না। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ قَالَ : ” كَانَ عُمُومَتِي يَأْمُرُونَنِي أَنْ أُؤَذِّنَ لَهُمْ وَأَنَا غُلَامٌ لَمْ أَحْتَلِمْ ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ شَاهِدٌ، فلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ ” .

আব্দুল্লাহ ইবনে আবি বকর বিন আনাস বলেন,“আমার চাচারা আামকে আজান দেয়ার আদেশ করলে (আমি আজান দিতাম)। সে সময় আমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক ছিলাম। আনাস বিন মালিক রা. আমাকে দেখলেও তিনি প্রতিবাদ করেন নি।” (ইবনুল মুনজির আওসাত গ্রন্থে ৩/১৭৬)

★নাবালেগের আযান সহিহ হলেও বালেগ পুরুষ দ্বারা আযান, ইকামত দেয়া উত্তম ৷

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 391):
"(ويجوز) بلا كراهة (أذان صبي مراهق).
(قوله: بلا كراهة) أي تحريمية؛ لأن التنزيهية ثابتة؛ لما في البحر عن الخلاصة: أن غيرهم أولى منهم. اهـ. ح.
সারমর্মঃ
বালেগ হওয়ার নিকটতম ব্যাক্তির আযান দেওয়া মাকরুহে তাহরিমি ছাড়াই জায়েজ আছে।  
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
আপনার ছেলের বয়স মাত্র ৫ বছর তিন মাস, তাই সে 
বুঝমান ও বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন বালক এখনো হয়ে না উঠার কারনে যদিও তার আযান দিলে আর আযান লাগবেনা,তারপরেও সেটি মাকরুহে তাহরিমি হবে।
তাই জামা'আতে নামাজের ক্ষেত্রে আপাতত তার আযান না দেওয়াই উচিত।
আর কয়েক বছর আযান দিবে,ইনশাআল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামুয়ালাইকুম
আমার ছেলে আযান ও ইকামাত দেয়ার লোভে লোভে মসজিদে যাওয়ার জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করে এবং জামাতের সাথে নামায পড়ে। আযানের সময় হলে তার মাথা ঠিক থাকে না। মসজিদে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাকে নিষেধ করা হলে হয়তো সে কষ্ট পেয়ে মসজিদে যাওয়ার অভ্যাসটাই ছেড়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে কি করনীয় হতে পারে।

অনেক সময় তার আগে হুজুর আযান দিয়ে দিলে যে আবার গিয়ে ২য় বার আযান দেয়। এটিও কি মাকরুহ হবে?

আর সে ইকামাত দিলেও কি মাকরুহ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 110 views
0 votes
1 answer 2,488 views
...