আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
যে মানুষ অন্যর হক মেরে টাকা কামিয়েছে তারতো হিসাব দেওয়া লাগবে শেষ বিচারে, তার আমলনামায় যে ভালো কাজ ছিলো সেগুলা দিয়ে দিতে হবে।

আমার প্রশ্ন হল


১) যে ব্যাক্তি হারাম কাজের বিনিময় হারাম ইনকাম করে (মদ-গানবাজনা-সুদ) সে তো তার হারাম কাজের বিনিময় টাকা কামিয়েছে, এক্ষেত্রে সে কি কারো হক নষ্ট করছে?


২) যে হারাম কাজের বিনিময় হারাম ইনকাম করে আবার ৫ ওয়াক্ত নামাজও পরে, তারতো হারাম খাওয়ার কারনে নামাজ কবুল হবে না। যেহেতু তার নামাজ কবুল হবে না, তার নামাজ পরা আর না পরা সমান? সে নামজ পরলে কি একটুও সওয়াবের আশা করতে পারবে না?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) যে ব্যাক্তি হারাম কাজের বিনিময়ে হারাম ইনকাম করে। যেমন মদ,গান বাজনা,সুদ ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকাম। এখানে যেহেতু অন্যর সন্তুষ্টির মাধ্যমে টাকা নেওয়া হয়েছে, তাই হক নষ্টের গোনাহ হবে না ঠিক তবে হারামে লিপ্ত হওয়ার গোনাহ অবশ্যই হবে।

(২) যে হারাম কাজের বিনিময় হারাম ইনকাম করে, অন্যদিকে ৫ ওয়াক্ত নামাজও পরে। ঐ ব্যক্তির হারাম খাওয়ার কারনে ইবাদত কবুল না হওয়ার কথা।তবে নিশ্চিত কবুল হবে না, এমনটাও বলা যাবে না। বান্দার দায়িত্ব হচ্ছে, হারাম পরিত্যাগ করে ইবাদতে মনযোগী হওয়া। তবে এমনটা মনে করা যাবে না যে, যেহেতু তার নামাজ কবুল হবে না, তাই তার নামাজ আদায় করা আর না করা সমান! এবং  সে নামজ পরলে একটুও সওয়াবের আশা করতে পারবে না। বরং তার দায়িত্ব হচ্ছে, ইবাদতকে নিয়ম অনুসারে চালিয়ে যাওয়া এবং হারামকে পরিত্যাগ করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...