আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (9 points)
আল্লাহর রজ্জ্ব শক্ত করে ধরো আর বিছিন্ন হয়োনা।
কুরআন ১০৩


জাকের নায়েক স্যার বলেন আল্লাহর রজ্জ্ব হলো পবিত্র কুরআন এবং সহীহ হাদিস।

যারা দ্বীন সম্পর্কে বিভিন্ন মত সৃষ্টি করে হে রাসূল তাদের দায়িত্ব তোমার নয়।
সূরা আল আনাম ১৬৯


প্রশ্ন : মাজহাম মানি ও তো মত তো আল্লাহ তো বলেছে মত সৃষ্টি না করতে?


আল্লাহর নবী সা: তো মাজহাব ফলো করতেন না তিনি ছিলেন মুসলিম।
ইসা আ: তিনি মুসলিম ছিলেন

আল ইমরান ৫২


ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম দিনিও মুসলিম ছিলেন।

আল ইসরা ৬৭


সে ব্যক্তির চেয়ে কে উত্তম যে মানুষকে আহ্ববান করে আল্লাহর আল্লাহর পথে সৎকর্ম করে আর বলে আমি মুসলমান।

 সূরা ফুলসিরাত ৩৩


জাকির নায়েক স্যার বলেন আর ৪ জন ইমান-


১] আবু হানিফা

২] ইমাম মাশাফি

৩] ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল

৪] ইমাম মালেক


এই ৪ জন ইমাম বলেছেন যদি আমার কোন ফাতোয়া আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তোমরা আমার ফাতোয়া ছুড়ে ফেলে দাও।


আমি তাদের সম্মান করি কারণ তারা বিখ্যাত পন্ডিত।

জাকির নায়েক স্যার বলেন যদি ভালো করে দেখেন এই ৪ জন ইমাম মুসলিম দের বিভক্ত করতে চাননাই ওনারা চেয়েছেন মুসলিমরা যেন মূল ধর্মগ্রন্থ কুরআন এবং সহীহ হাদিস পড়ে।


প্রশ্ন - আরেকটা হাদিস পেয়েছি এই হাদিসে মাজহাব এর কথা বলেনাই তাইলে কিসের কথা বলেছে? এই প্রশ্নের জবাব বুঝিয়ে বলবেন।


সহীহ বুখারী: "আমার উম্মত ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে। সকলেই জাহান্নামী, শুধুমাত্র একটি দল বাদে। আর তারা হল যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর ঈমান রাখবে এবং যা তাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করবে।

প্রশ্ন- নিচের হাদিস গুলো বুঝিয়ে দিন


রাসুলুল্লাহ সা: থেকে ৩ টি বক্তব্য এসেছে:

১) যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে রাসূল সা: বলেন, কেবলমাত্র ১ টি দল ( যারা জান্নাতি), সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল তারা কারা? ( যারা জান্নাতি) উত্তরে তিনি বললেন যার উপরে আমি এবং আমার সাহাবীগণ আছি।

[ আত তিরমিযী ২৬৪১ ]


অন্যত্র রাসূল সা বলেন

আজজের দিনে আমি ও আমার ছাহাবীগণ যার উপরে আছি

(হাকেম ১/১২৯)।


অর্থাৎ এখানে রাসূল সা কেবল তরীকা ও বৈশিষ্টের কথা বলেছেন, কোনো দলের নাম বলে যাননি।


২) সেটি হলো আল- জামা আত।

[ ইবনু মাজাহ হ/ ৩৯৯২; আহমদ, আবু দাঊদ হা/৪৫৯৭; মিশকাত হা/১৭২।]

যার অর্থ ছাহাবীগণের জামা আত।

তারা হল [ আল জামা আত] একটি দল

প্রশ্ন - কোন দল জান্নাতে যাবে?


প্রশ্ন - তাহলে মাযহাব কেন মানবো দলিল সহ বুঝিয়ে দিন।


জাকির নায়েক স্যারের ভিডিও লিংক- https://m.facebook.com/100090503373909/videos/2751483461658068/?vh=e&mibextid=DrtuHo&extid=MSG-UNK-UNK-UNK-AN_GK0T-GK1C&wtsid=rdr_0CIxvZfmR14xsb0Wd

1 Answer

0 votes
by (570,960 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাকলীদের দু'টি শাখা রয়েছে যথাঃ-
(১)তাকলীদে শাখসী বা ব্যক্তি তাকলীদ।অর্থাৎ শরীয়তের প্রত্যেকটি মাস'আলায় নির্দিষ্ট কোনো একজনকে তাকলীদ করা।
(২)তাকলীদে গায়রে শাখসী বা স্বাধীন তাকলীদ, অর্থাৎ যেকোনো মাস'আলায় যেকোনো একজনকে তাকলীদ করা।সহজ কথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী একেক মাস'আলায় একেকজনের তাকলীদ করা।

মুতাওয়াতির পর্যায়ের বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণিত রয়েছে যে, কারো কোনো মাস'আলা জানা না থাকলে না,তিনি বিজ্ঞজনের তাকলীদ করবেন।তাকলীদ করা ফরয।এটা হলো মতলকে তাকলীদ তথা সাধারণ তাকলীদের বিধান।সমস্ত উলামায়ে কেরাম এমনকি আহলে হাদীসের মুহাক্বিক ইমামগনও মতলকে তাকলীদ তথা সাধারণ তাকলীদকে স্বীকার করে থাকেন।অধিকাংশ আহলে হাদীস সাধারণ তাকলীদের ফরযিয়্যাতেরও প্রবক্তা।

সুতরাং অজ্ঞদের জন্য বিজ্ঞজনের তাকলীদ করা যে ফরয,এতে কারো দ্বিমত নেই,মতবিরোধ নেই।

তাকলীদের পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
তাকলীদে শাখসী করা হবে না গায়রে শাখসী করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1936


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাযহাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সংগ্রহ করুন,মুফতি তাকী উসমানী দাঃবাঃ কর্তৃক লিখিত "মাযহাব কি ও কেন?" 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম। মাযহাব কি ও কেন তাকি উসমানি সাহেবের বইটা পরলে কি প্রশ্নের জবাব গুলো জেনে যাবো? 
by (570,960 points)
+1
জ্বী, ইনশাআল্লাহ। জানতে পারবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...