আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
১/Matha chuye mittha kotha bolle ki shei manush mara jay? Eta koto tuku sotti?

২/ বলে যে ব্যাক্তি কোনো মুসলিম এর ভাঙ্গা মন জোড়া লাগালো সে বিনা হিসেবে জান্নাতী।

এটি কি সহীহ নাকি জাল। জানিয়ে উপকৃত করবেন ইনশাআল্লাহ

৩/Jamai bow haste haste ak Jon r ak Jon k brack up bolle ki biye nosto hoy

৪/আমাদের রাসূল(স:) এর খাবারের রুটিন কি রকম ছিল।। তিনি সকাল সন্ধ্যা কি কি খেতেন,, কিরকম খেতেন,, এগুলো নিয়ে ডিটেইলস জানতে চাচ্ছি।।
you tube এ ও অনেক ভিডিও দেখছি। কিন্তু ডিটেইলস এগুলো পাইনা।।

৫/

আমি স্বপ্নে দেখি  আমার মনে হয় আমি বিবাহিত মেয়েদের মতো অনেক বছর ধরে একজনরে স্বপ্নে দেখতাম তার মুখ কোনো সময় দেখি নাই কিন্তু কয়েক দিন আগে দেখছি  সাদা পাঞ্জাবি পরা কিন্তু খুবই সুন্দর কিন্তু ভয়ংকর জীনের মতো লাগে, একটা বাচ্চা ও সাথে থাকে মনে হয় এইটা আমার বাচ্চা, রাতে ৩ টার সময় ঘুম ভাঙে মনে হয় কেউ আমাকে নামাজ পড়ার জন্য  ডাকছে,যখন একা রাতে কোরআন  পড়ি  এতো সুন্দর গন্ধ লাগে  মনে হয় কেউ আমার কাছে থাকে, কোনো ছেলের সাথে একটু হেসে কথা বললেই আমার একটা সমস্যা হয়, ২ দিন আগে রাতে এক জনের সাথে কথা বলেছিলাম  তারপর বসে  আছি হঠাৎ  একটা  পোকা এসে আমার আঙুলে কামড় বসিয়ে দেয়   এটা ঐ ছেলের সাথে কথা বলার জন্যই হয়েছে??


হঠাৎ ঘুম ভাঙলে মনে হয় আমি পড়ে যাচ্ছি,
অনেক সময় দেখি রাতে ঘুমের মধ্যে আমি কান্না করছি


মাঝে মধ্যে স্বপ্নে দেখি কেউ আমার গালে তাপ্পর মেরেছে তারপর ঘুম থেকে উঠার পর দেখি গাল ফুলে গিয়েছে...


আমার বিয়ে ঠিক হলে ও অনেক জায়গায়  সবঠিক হওয়ার পর হঠাৎ ভেঙে যায় বিয়ের ডেট ফিক্স হওয়ার সময়


এমন সময়ও গেছে আমার বাবা-মা যখন আমার  বিয়ে  ঠিক করছেন বিয়ের আলোচনা করছেন তখন আমার বাবা-মা কে  দেখলে  ঘৃণা লাগত ভালো লাগতো  না তাদের কথাবার্তা এমনকি   ভালো কথা শুনলে ও আমার বিরক্ত লাগত...

নামাজ, কুরআন পড়লে নাকি  ঐ বোনটার বেশি সমস্যা হয়  সে জন্য আর ও বেশ কয়েকদিন ধরে নামাজ,কুরআন পড়ছে না


৬/ একজন ভেবেছিলো তার যাকাত ফরজ হয়েছে।তাই রোজায় সে যাকাত দেয়।পরে দেখে যে যাকাতের যে টাকাটা দিয়েছে। ওটার ১ বছর হয় নাই। তো যিনি যাকাত দিছে উনি আগে জানতো না যে ১বছর না হলে যাকাত ফরজ হয়নি। কিন্তু আমি জানতাম , হয়তো ভুলক্রমে আমার মাথা থেকেও এটা ছুটে গেছিলো। এখন উনি জানসে , তো আমাকে বলসে উনার টাকার তো ১ বছর পূর্ণ হয়নি তখন।

তো এখন জানতে চাচ্ছি, ঐ টাকাগুলোর ১ বছর পূর্ণ হলে কি আবার যাকাত দিতে হবে? নাকি এইবারের যাকাতটা ১বছর পূর্ণ হওয়ার পরের যাকাত ধরা যাবে?


190000 tk chilo .oigular jakat . 3k taka disilo bki gula onno ekjn k disilo erm.


৭/ একজনের বাসায় এক মহিলা ১৪ বছর থেকে কাজ করে। তার কাজের মহিলার ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছিলো বাসায়।তো,ওই আন্টি তাকে বলেছিলেন আমার অন্য বাসায় এক্সট্রা একটা ফ্যান আছে নিয়ে আসলে তোমাকে ওটা দিবো।তো, এরই মাঝে কিছুদিন যাবত সে মহিলা কাজে দেরি করে আসে। আবার থেকে থেকে
আসেনা।অথচ সে সুস্থ কিন্তু মিথ্যা কথা বলে যে আমি অসুস্থ।তো,একদিন সে দেরি করে আসায় ওই আন্টি তার কাজের মহিলাকে বলে এখন আর তোমার আসা লাগবেনা আমার সব কাজ হয়ে গেছে।সব সময় দেরি
করো তুমি।তখন সেই কাজের মহিলা রেগে গিয়ে বলে যার বাসায় কাজ করে সারাজীবন শেষ করলাম সে এন কথা বলে।আর কাজ করবোনা আমার পাওনা টাকা দিয়ে দিয়েন।এরপর একদিন সেই কাজের মহিলাকে তাদের বাসায় তিনি ডাকে এরপর মাথায় হাত বুলায় আর বলে যে কাজ ছাড়িস না।পরে সে মহিলা অনেক কথাই বলে যে আমি অন্য জায়গায় আপনার থেকেও ভালো কাজ পেয়েছি অথচ সে মিথ্যা বলছিল।কাজ
পায়নি। এরপর আন্টিটা বলল ঠিক আছে ফ্যান টা নিয়ে যাইয়ো তখন ওই কাজের মহিলা বলে বাড়িতে থাকবো কি না তাই জানিনা আবার ফ্যান।এভাবে রাগ করে ফ্যান নিলোনা।এখন ওই আন্টির কথা হচ্ছে যেহেতু ওনাকে কথা দিয়েছিলো ফ্যান দিবে এখন ফ্যান না দিলে কি গুনাহ হবে? আর কোনো ভাবে তার বাসায় ফ্যান টা পৌছায় দিলেও এ সম্ভাবনা আছে যে ওই কাজের মহিলা  ফ্যান গ্রহণ করবেনা এটা এই আন্টির বাসায় নিয়ে এসে আরএ কথা শুনাবে।ফ্যান টা অন্য গরিব কাউকে দিলে হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এটা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা। 

(০২)
এ ধরনের কথা হাদীসে নেই।

(০৩)
তালাকের নিয়তে বললে তালাক হবে।
অন্যথায় তালাক হবেনা।

(০৪)
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে বর্ণনা করছেন, তিনি বলেন:

« إن النبي - صلى الله عليه وسلم - لم يجتمع عنده غداء ولا عشاء من خبز ولحم إلا على ضفف».

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুপুর ও রাতের খাবারে কখনো রুটি মাংস একত্রে মিলত না, যদিও মিলত তা হত অতি সামান্য।
তিরমিযী, হাদিস: ২৩৫৬

অর্থাৎ তিনি পরিতৃপ্ত হতেন না, কোন রূপে চালিয়ে নিতেন। যদি মেহমান আসত তবেই তাদের সাথে সৌজন্যমূলক ও তাদের আনন্দের জন্য তৃপ্ত হতেন।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন:

«ما شبع آل محمد من خبز شعير يومين متتابعين حتى قبض رسول الله - صلى الله عليه وسلم -»

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবার তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত পরস্পর দুই দিন যবের রুটি পেট ভরে পূর্ণ করে খায়নি।
মুসলিম, হাদিস: ২৯৭০

অন্য বর্ণনায় এসেছে:

«ما شبع آل محمد منذ قام المدينة من طعام بر ثلاث ليال تباعًا حتى قبض».

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমণের পর থেকে মৃত্যু বরণ পর্যন্ত তাঁর পরিবার পরস্পর তিন দিন পেট পূর্ণ করে গমের রুটি খায়নি।
মুসলিম, হাদিস: ২৯৭০

বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবার কিছু না পেয়ে ক্ষুধার্ত পেটে ঘুমিয়ে যেতেন এক লোকমাও তার পেটে কিছু যেত না!

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:

«كان رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يبيت الليالي المتتابعة طاويًا هو وأهله،لا يجدون عشاء، وكان أكثر خبزهم خبز الشعير».

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবার ক্ষুধার্তাবস্থায় পরস্পর কয়েক রাত অতিবাহিত করতেন। রাতের খাবার থাকত না তাদের কাছে, আর বেশীর ভাগ তাদের রুটি ছিল যবের রুটি।
তিরমিযী, হাদিস: ২৩৬০

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এমনও প্রমাণিত আছে যে, أنه كان يقيم الشهر والشهرين، لا يعيشه هو وآل بيته إلا الأسودان: التمر والماء. তিনি এক দুই মাস কাটিয়ে দিয়েছেন কিন্তু তাঁর ও পরিবারের জন্য দুই কাল বস্তু খেজুর ও পানি ব্যতীত জীবন ধারনের জন্য কিছুই জুটত না।
বুখারী,  হাদিস: ২৫৬৭; মুসলিম, হাদিস: ২৯৭২

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর খাবা রুটিন জানতে চেয়েছেন,এই ভাবে রুটিন করে রাসুলুল্লাহ সাঃ খাবার খাননি।
প্রত সপ্তাহে ২/৩ দিনের মতো রোযা রাখতেন।

অন্যান্য দিনে যখন যেটা উপস্থিত হতো,সেটাই খেতেন।

গোশত রুটি উপস্থিত হলে, তাই খেতেন অথবা ফল-মুল, গোশ ও রুটি উপস্থিত হলে, তাই খেতেন, শুধু রুটি বা শুধু খেজুর পেলে সেটাই খেতেন। তাঁর কাছে দুই প্রকার আনা হলে তিনি এ কথা বলতেন না যে, আমি দুই প্রকার খাদ্য গ্রহণ করব না। আর মজাদার ও মিষ্টি খাদ্য গ্রহণ করা থেকেও তিনি বিরত হতেন না। 

মহানবী (সা.) খেজুর খেতেন। খেজুর তার প্রিয় ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বার্লির এক টুকরো রুটির ওপর একটি খেজুর রাখতে দেখেছি। তারপর বলেছেন, ‘এটিই খাবার-মসলা।’ (আবু দাউদ : ৩৮৩০)

অন্য হাদিসে আছে, প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে বাড়িতে খেজুর নেই, সে বাড়িতে কোনো খাবার নেই।’

নবীজি (সা.) দুধ খেতেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মিরাজের রাতে বায়তুল মাকদিসে আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে বের হলে জিবরাইল (আ.) আমার সম্মুখে শরাব ও দুধের আলাদা দুটি পাত্র রাখেন। আমি দুধের পাত্রটি নির্বাচন করি। জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি প্রকৃত ও স্বভাবজাত জিনিস নির্বাচন করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১৬৪; তিরমিজি, হাদিস : ২১৩)

বিশ্বনবী (সা.) মধু খেতে পছন্দ করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন।’ (বুখারি, ৫১১৫; মুসলিম, ২৬৯৫)

আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মধু হলো উত্তম ওষুধ।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৯)।

লাউ বা কদু খেতে নবী (সা.) পছন্দ করতেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার একজন দর্জি রাসুল (সা.)-কে খাবারের দাওয়াত করেন। আমিও মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সেই খাবারে অংশগ্রহণ করি। রাসুল (সা.)-এর সামনে বার্লির রুটি এবং গোশতের টুকরা ও কদু মেশানো ঝোল পরিবেশন করা হয়। আমি দেখেছি, রাসুল (সা.)-প্লেট থেকে খুঁজে খুঁজে কদু নিয়ে খাচ্ছেন। আর আমিও সেদিন থেকে কদুর প্রতি প্রীত হয়ে উঠি। (মুসলিম : ২০৬১; বুখারি : ৫০৬৪)

(০৫)
নামাজ ও কুরআন পড়লে এই সমস্যা বেশি হয়,এ কথা সহীহ নয়।

আপনার অচিরেই বিবাহ হবে,ইনশাআল্লাহ। 
আল্লাহর কাছে দোয়া চালিয়ে যাবেন,দ্রুত বিবাহের আমল গুলি করবেন।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৬)
যেটা যাকাত হিসেবে অগ্রীম দিয়েছে,সেটা যাকাত হিসেবেই আদায় হয়েছে।
,
এখন এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিন তার মালিকানায় কত যাকাত যোগ্য সম্পদ আছে,সেটা দেখতে হবে।
সেক্ষেত্রে পূর্বের টাকা ধরে আরো টাকা যাকাত দিলে সেই অতিরিক্ত টাকা যাকাত দিতে হবে।

আর যদি পূর্বের টাকা ধরে আর যাকাত না আসে,সেক্ষেত্রে এই বছর আর যাকাত দিতে হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৭)
এক্ষেত্রে ফ্যান তাকে না দিলে কোনো গুনাহ হবেনা।

এমতাবস্থায় অন্য কোনো গরিবকে ফ্যান দান করাও আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...