জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যেহেতু আপনার নিষেধের তারা শুনেনা।সুতরাং এক্ষেত্রে গীবত শুরু হলেই আপনি স্থান ত্যাগ করবেন। ঐ মজলিস ত্যাগ করে অন্য ঘরে চলে যাবেন।
(০২)
(০৩)
এর দরুন ফিতনার আশংকা না থাকলে আপনার গুনাহ হবেনা।
এতে আপনার দৃষ্টির খেয়ানত হবেনা।
(০৪)
শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের জন্য পর পুরুষের চেহারা দেখা, যদি আকৃষ্ট হবার শংকা না থাকে,ফেতনার আশংকা না থাকে, তাহলে জায়েজ আছে।
কিন্তু আকৃষ্ট হবার শংকা থাকলে জায়েজ নয়,হারাম।
তবে শংকা না থাকলেও দেখা অনুত্তম।
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ [٢٤:٣١
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে। [সূরা নূর-৩১]
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم، فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ خَيْرٌ لِلْمَرْأَةِ؟ فَسَكَتُوا، فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ لِفَاطِمَةَ: أَيُّ شَيْءٍ خَيْرٌ لِلنِّسَاءِ؟ قَالَتْ: أَلَّا يَرَاهُنَّ الرِّجَالُ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّمَا فَاطِمَةُ بِضْعَةٌ مِنِّي» رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত সাহাবাগণকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, মহিলাদের জন্য সবচে’ উত্তম কী? তখন সকলেই চুপ ছিল। তারপর যখন আমি বাড়ীতে ফিরলাম। তখন ফাতিমা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলামঃ মহিলাদের জন্য সবচে’ উত্তম কী? তখন ফাতিমা রাঃ বললেন, পর পুরুষকে না দেখা। তারপর এটি আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয় ফাতিমা আমারী শরীরের অংশ। [মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৫২৬]
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيفَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتْ امْرَأَةٌ مِنْ خَشْعَمَ فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ وَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফযল ইবনু ‘আববাস (রাঃ) একই বাহনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে আরোহণ করেছিলেন। এরপর খাশ‘আম গোত্রের জনৈক মহিলা উপস্থিত হল। তখন ফযল (রাঃ) সেই মহিলার দিকে তাকাতে থাকে এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাতে থাকে। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফযলের চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫১৩]
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পর পুরুষদের দিকে তাকালে গুনাহ হবে। তবে বিনা প্রয়োজন তাকানোকে উলামায়ে কেরামগন অনুত্তম বলেছেন।
,
তবে তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার শংকা থাকলে বা কোনো ভাবে ফিতনার আশংকা থাকলে গুনাহ হবে।
(০৫)
কাহারো প্রতি কুদৃষ্টি পড়লে সেক্ষেত্রে মনে মনে ভাববেন যে আমি মহান স্রষ্টার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাপাক পানি দ্বারা সৃষ্ট ব্যাক্তিকে প্রাধান্য দিলাম!
আমার কাছে এটাই বড় হয়ে গেলো?
ইনশাআল্লাহ কাজ হবে।
(০৬)
এক্ষেত্রে করনীয় জানুনঃ-
(০৭)
আল্লাহর বিধান পালনের পাশাপাশি
নিজের হাত ও যবান হতে যেনো অপর মুসলিম নিরাপদ থাকে।
কাহারো হক নষ্ট করবেননা।
সকলের প্রাপ্য হক আদায় করবেন।
নিজের উপর অর্পিত সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
আম্বিয়ায়ে কেরাম ও সাহাবাদের জীবনী পড়বেন।
(০৮)
প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর রমজানে রোযার নিয়ত করে রোযা রেখে বিনা ওযরে আপনি সেই রোযা ভেঙ্গে থাকলে কাফফারা আপনাকে আদায় করতেই হবে।
লাগাতার ৬০ টি রোযা রাখবেন,মাঝে হায়েজ চলে আসলে সেই দিন গুলি বিরতি থাকবেই, হায়েজ শেষ হলে আবারো রোযা রাখা শুরু করবেন। মোট ৬০ টি রোযা রাখবেন।
(নারীদের জন্য বিষয়টি কিছুটা সহজ।
হায়েজের দিন বিরতি হিসেবে পাওয়া যায়,কিন্তু পুরুষদের এই বিরতির সুযোগ নেই।)
কোনোভাবেই শারীরিক ভাবে এভাবে ৬০ টি রোখার সক্ষমতা না রাখলে সেক্ষেত্রে ৬০ জন মিসকিনকে খাবার খাওয়াবেন।
অথবা ৬০ জন মিসকিনকে একটি করে সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা দিবেন।
এখন টাকা না থাকলে পরে দিবেন।