ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেহেতু আমাদের দেশে পুরোপুরি শরয়ী বিচার ব্যবস্থা নেই।তাই শরয়ী বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্টার আন্দোলনে শরীক থেকে ও তা বাস্তবায়নের আকাংখা অন্তরে লালন করে বর্তমান কোর্টে উকালতি করার অনুমোদন রয়েছে।কেননা যদি আমরা কোর্টকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে ফেলি, তাহলে সেটা অমুসলিম বা ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে যাবে।যেখানে সাধারণ ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার মত কেউ-ই থাকবে না।তবে অন্তরে সর্বদা শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়নের আক্ষেপ ও অাকাংখা লালন করতে হবে।
ইসলাম চায় অপরাধমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা।কুরআন-হাদীসে কোনো অপরাধের যে সাজা বর্ণিত রয়েছে,সে সাজা কার্যকর করা ব্যতীত মূলত ঐ অপরাধকে ধমন করা কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না।যার উজ্জল দৃষ্টান্ত হল,ধর্ষণ। ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করলে এ অপরাধের সংখ্যা দিনিদিন কমবে।কিন্তু মানুষ কর্তৃক তৈরী আইনে এ অপরাধের সংখ্যা দিনিদিন বাড়ছে।তবে তারপরও সাজা হিসেবে একটি আইন রয়েছে।
কিন্তু যদি কোথাও এটাকে অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয় না,বরং এটাকে স্বাভাবিক মনে করা হয়,এবং এ আলোকে কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপিত হয়,তাহলে এমন যুক্তিতর্কে০ যুক্ত হওয়া কখনো জায়েয হবে না।এটা পরিস্কার হারাম এবং কুরআন অস্বীকারের দরুণ সে কাফির হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
598 এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
623
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আইন নিয়ে পড়লে মানুষ মুরতাদ হবে না। বরং আল্লাহর আইনের বিপরীতে মানবরচিত আইনকে উত্তম মনে করাটাই কুফুরি। সুতরাং যারা আইন নিয়ে পড়ে পাশ করে তাদেরকে মুরতাদ বলা যাবে না। বরং যারা আল্লাহর আইনকে নিয়ে উপহাস করে,তারাই কাফির।