আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আমার এক বোন আফসোস করছিলেন যে আইন নিয়ে পড়লে নাকি মানুষ মুরতাদ হয়ে যায়। এখন আমি জানি যে আল্লাহর আইনের বিপরীতে মানবরচিত আইন করা কুফুরি। এখন যারা আইন নিয়ে পড়ে পাশ করে তারা কি মুরতাদ হয়ে যায়? একটু‌ সনদসহ বললে উপকৃত হতাম উস্তাজ। কারণ এধরণের কথা তো বিনা দলীলে বলা যায় না। যেহেতু ঈমান কুফরের ব্যাপার

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেহেতু আমাদের দেশে পুরোপুরি শরয়ী বিচার ব্যবস্থা নেই।তাই শরয়ী বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্টার আন্দোলনে শরীক থেকে ও তা বাস্তবায়নের আকাংখা অন্তরে লালন করে বর্তমান কোর্টে উকালতি করার অনুমোদন রয়েছে।কেননা যদি আমরা কোর্টকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে ফেলি, তাহলে সেটা অমুসলিম বা ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে যাবে।যেখানে সাধারণ ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার মত কেউ-ই থাকবে না।তবে অন্তরে সর্বদা শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়নের আক্ষেপ ও অাকাংখা লালন করতে হবে।
ইসলাম চায় অপরাধমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা।কুরআন-হাদীসে কোনো অপরাধের যে সাজা বর্ণিত রয়েছে,সে সাজা কার্যকর করা ব্যতীত মূলত ঐ অপরাধকে ধমন করা কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না।যার উজ্জল দৃষ্টান্ত হল,ধর্ষণ। ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করলে এ অপরাধের সংখ্যা দিনিদিন কমবে।কিন্তু মানুষ কর্তৃক তৈরী আইনে এ অপরাধের সংখ্যা দিনিদিন বাড়ছে।তবে তারপরও সাজা হিসেবে একটি আইন রয়েছে।
কিন্তু যদি কোথাও এটাকে অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয় না,বরং এটাকে স্বাভাবিক মনে করা হয়,এবং এ আলোকে কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপিত হয়,তাহলে এমন যুক্তিতর্কে০ যুক্ত হওয়া কখনো জায়েয হবে না।এটা পরিস্কার হারাম এবং কুরআন অস্বীকারের দরুণ সে কাফির হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-598 এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 623

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আইন নিয়ে পড়লে মানুষ মুরতাদ হবে না। বরং আল্লাহর আইনের বিপরীতে মানবরচিত আইনকে উত্তম মনে করাটাই কুফুরি। সুতরাং যারা আইন নিয়ে পড়ে পাশ করে তাদেরকে মুরতাদ বলা যাবে না।  বরং যারা আল্লাহর আইনকে নিয়ে উপহাস করে,তারাই কাফির।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...