আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
450 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)

1) গায়রে মাখলুক কাকে বলে ?  সিফাত এবং গায়রে মাখলুক এর মধ্যে পার্থক্য কি ?  

 

2) রিয়া করা কি শিরক এর সমতুল্য ?

 

3) যেনা করা অবস্থায় যদি কারো মৃত্যু  হয় তাহলে সে কি কাফের হয়ে মারা যাবে ?  কারন একটা  হাদিসে পড়েছিলাম   যে যেনা করা অবস্থায় ঈমান  বের হয়  এবং উপরে ভাসতে থাকে ?

 

4) নবী মুসা এবং   ঈশা  তাদের সঠিক জন্ম মৃত্যু সাল কোনটি ?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
غَيْر
[গাইর] শব্দের অর্থঃ  অন্য,ভিন্ন,পর,অপর,অ,বে,না,নয়।
,
مَخْلُوق [خلق]
[মাখ্লূক] শব্দের অর্থঃ  সৃষ্টি করা হয়েছে এমন,যা সৃষ্টি করা হয়েছে,সৃষ্ট।
,
সুতরাং গায়রে মাখলুক বলা হয় যেটি সৃষ্ট নয়।
 
সিফাত দ্বারা উদ্দেশ্য, যাহা আল্লাহর সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আরো জানুনঃ 
,
(০২)

শুধুমাত্র লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত করে থাকলে,সেই ইবাদতকে রিয়া বলা হয়।তবে যদি কেউ লোক দেখানোর সাথে সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকেও উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে,তাহলে সেটা রিয়া হবে না।
,
★রিয়া যুক্ত ইবাদতকে ছোট শিরক বলা হয়,এথেকে তওবা করতে  হবে।
তাহলেই সেটি মাফ হয়ে যাবে।
,
জানুনঃ 

রিয়া সংক্রান্ত আরো জানুনঃ 

(০৩)
প্রথমেই এ সংক্রান্ত হাদীস লক্ষ্য করিঃ 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ الْأَنْطَاكِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَالتَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ بَعْدُ 

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত অবস্থায় ঈমানদার থাকে না। চোর চুরি করা কালে ঈমানদার থাকে না। মদ্যপায়ী তা পানরত অবস্থায় ঈমানদার থাকতে পারে না। এরপরও তাওবাহর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
(আবু দাউদ ৪৬৮৯,বুখারী মুসলিম)

وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةًٍ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ. 

উক্ত রাবী (আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকারী যখন যিনা করে তখন আর সে ঈমানদার থাকে না। চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। মদ্যপ যখন মদ পান করে তখন তার আর ঈমান থাকে না। যখন ডাকাত এভাবে ডাকাতি করে যে, যখন চোখ তোলে তাকিয়ে থাকে তখন তার ঈমান থাকে না। এভাবে কেউ যখন গনীমাতের মালে খিয়ানাত করে, তখন তার ঈমান থাকে না। অতএব সাবধান! (এসব গুনাহ হতে দূরে থাকবে)। 
বুখারী ২৪৭৫ [শেষ অংশটুকু তথা (وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ) ব্যতীত], মুসলিম ৫৭, আবূ দাঊদ ৪৬৮৯, নাসায়ী ৪৮৭০, তিরমিযী ২৬২৫, ইবনু মাজাহ ৩৯৩৬, সহীহাহ্ ৩০০০, সহীহ আত্ তারগীব ২৩৫৫;
,
এই হাদীস গুলোর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে: হাদীসের প্রকাশমান অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি মু’মিন নয় যেমনটি খারিজী এবং মু‘তাযিলাগণ বলে থাকে। তবে জামা‘আত তাদের বিপরীত মত পোষণ করেন এবং এ হাদীসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করেছেন। এ হাদীস এবং কুরআন ও অন্যান্য হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করার উদ্দেশে, যে দলীলগুলো প্রমাণ বহন করে যে, শির্ক ব্যতীত অন্য কোন কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ্’র দরুন কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মু’মিন, তবে তাদের ঈমান অসম্পূর্ণ। যদি তারা তাওবাহ্ করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবাহ্ ব্যতীত কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে তারা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।

কাউকে কাফের বলা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের নন।
,   
(০৪)
এই বিষয় নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে।    
নির্দিষ্ট কোনো সাল নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাইনি। 

فقد ذكر ابن كثير في قصص الأنبياء أن عمر موسى عليه السلام كان مائة وعشرين سنة، قال رحمه الله تعالى ـ ( وذكر أهل الكتاب وغيرهم أن موسى عليه السلام ـ مات وعمره مائة وعشرون سنة).
সারমর্ম কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে যে মুসা  আঃ এর বয়স ১২০ বছর ছিলো।  
,
পাওয়া তথ্য মতে হযরত মুসা আঃ এর জন্ম আনুমানিক ২০৭৬ বছর  হিজরীর পূর্বে হয়েছিলো। (আনুমানিক ১৩৯২ বিসিই)

মৃত্যু আনুমানিক ১৯৫২ হিজরীর পূর্বে (আনুমানিক ১২৭২ বিসিই)

1463 ق.م
مصر القديمة
১৪৬৩ সন মিছরুল কদিমাহ।

ة1316  .
صحراء سيناء
১৩১৬ ছাহরায়ে সীনা।

★হযরত ঈসা আঃ এর জন্ম আনু. ২-৭ খৃষ্টপূর্বাব্দ
,
কারো মতে উনার জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ১ সালে। কারো কারো মতে খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে। কারো মতে ৫ খ্রিস্টাব্দ আবার কারো মতে ৭ সালে নবীর জন্ম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...