বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ فَإِن كَرِهْتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَيَجْعَلَ اللَّهُ فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।(সূরা নিসা-১৯)
اتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانَةِ اللَّهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ، وَإِنَّ لَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ، أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ -
তোমরা নারীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করো। কেননা তাদেরকে তোমরা আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছো এবং আল্লাহর বিধান মোতাবেক তোমরা তাদের লজ্জাস্থানকে নিজেদের জন্য হালাল করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার আছে, তারা যেন তোমাদের অপছন্দনীয় ব্যক্তিকে তোমার ঘরে স্থান না দেয়। তারা এরূপ করলে তাদেরকে খুবই হালকা মারধর করো। তাদের ভরণ-পোষনের দায়িত্বও তোমাদের উপর। তোমরা যা স্বাভাবিকভাবে আদায় করবে।(সুনানে আবু দাউদ-১৯০৫ হাদীসের একাংশ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষরা নারীদের অভিভাবক। সুতরাং অভিভাবকত্ব আদায় করতে যেয়ে নারীদেরকে যেমন, স্ত্রী,মেয়েকে কষ্টদায়ক কথা বললে এতে পুরুষের কোনো গোনাহ হবে না। তবে এছাড়া এমনিতেই নারীদের জন্য কষ্টদায়ক কথা বলা জায়েয হবে না। বরং সাধারণত আল্লাহ তাদের সাথে সদ্ভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং সাধারণভাবে যেভাবে স্বামীর মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলা স্ত্রীর জন্য নাজায়েয ঠিকতেমনি স্ত্রীর মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলা স্বামীর জন্যও নাজায়েয।