ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ বলেন,
শহীদ মূলত তিন প্রকার।যথাঃ-
(১)দুনিয়া-আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।ঐ ব্যক্তি যে কাফেরের সাথে যুদ্ধ করে করে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছে।
(২)আখেরাত হিসেবে শহীদ।তথা আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।কিন্তু দুনিয়া হিসেবে শহীদ হকে না তথা তাকে শহীদ বলে ডাকা যাবে না।বরং তাকে গোসল দিয়ে তার জানাযা পড়ে তাকে দাপন করা হবে।এরাই হল তারা যাদের আলোচনা বিভিন্ন হাদীসে এসেছে যে,যারা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে বা আগুনে জ্বলে কিংবা পানিতে ডুবে মারা যাবে।
(৩)দুনিয়া হিসেবে শহীদ।অর্থাৎ যাদের ব্যাপারে শহীদের মর্যাদা পেশ করা হবে কিন্তু আখেরাতে তারা শহীদের মর্যাদা পাবে না।এরা হল,তারা যারা জিহাদ পরবর্তী গণিমতের মালকে আত্মস্বাৎ করেছে।বা জিহাদের ময়দার থেকে পলায়নপর অবস্থায় যার মৃত্যু হয়েছে।(আল-মিনহাজ্ব শরহে মিশকাত-১৩/৬৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1093
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হ্যা, আপনার বাবা আখেরাত হিসেবে শহীদ হওয়ার কথা।উনার কবরের সুওয়াল জোওয়াব না হওয়ার কথা। বাদবাকী কার কেমন অবস্থা হবে, তা আল্লাহই ভালো জানেন।
(২)
আপনার বাবার রোযার ফিদয়া আদায়ের সামর্থ্য না থাকলে, যখন সামর্থ্য হবে, তখন আদায় করবেন। বাবার রোযার বদলা নিজেরা রোযা রাখলে হবে না।ফিদয়া আদায় হবে না। তাছাড়া ফিদইয়া হিসেবে নিজেরাও ভক্ষণ করতে পারবেন না। একটি রোযার ফিদয়া একটি ফিতরা সমপরিমাণ তথা ১.৬৫গ্রাম আটার মূল্য। এটা তেমন বেশী না। সুতরাং ভবিষ্যতে যখন সামর্থ্য হবে, তখন আদায় করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।