আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
প্রশ্ন:১- স্বামী যদি স্ত্রীকে ওয়াদা করে যে সে মাসনা করবে না,তাহলে কি স্বামীর গুনাহ হবে? এরূপ ওয়াদা কি জায়েজ আছে?

প্রশ্ন:২- সপ্তাহের ৭ দিন হিসাবে ধরলে ,৭ দিন কত দিন স্ত্রী সন্তান সময় পাবে এবং কত দিন স্বামীর মার বাবার সাথে কাটাবে আর কত দিন দ্বীনি কাজে লাগাবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক। 

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 6683 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাসনা করা কিছু শর্তসাপেক্ষ স্বামীর জন্য জায়েয। 
স্বামী যদি স্ত্রীকে ওয়াদা করে যে, সে মাসনা করবে না,তাহলে এজন্য স্বামীর কোনো গুনাহ হবে না। এরূপ ওয়াদা নাজায়েয হবে না। তবে স্বামীকে ব্লাকমেইল করে বাধ্য করা প্রথম স্ত্রীর উচিৎ না। 

(২) সপ্তাহের কতদিন স্ত্রী-সন্তান সময় পাবে এবং কতদিন স্বামীর মা-বাবা সময় পাবে ও কতদিন দ্বীনি কাজে সময় ব্যয় হবে? নির্দিষ্ট করে এমন কোনো দিন তারিখ বা সময় শরীয়তে নাই। বরং সবকিছুকে ব্যলেন্স করেই জীবনাতিপাত করতে হবে। হ্যা,প্রয়োজনে নিজ সুবিধা অনুযায়ী ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া যেতে পারে। স্ত্রীর হক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 990 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...