জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
باب مَا يُجْزِئُ مِنَ الْمَاءِ فِي الْوُضُوءِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَبَانُ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ‘সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং এক ‘মুদ্’ পানি দিয়ে অযু করতেন।
(সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা অর্জন ( كتاب الطهارة )
হাদিস নম্বরঃ ৯২, নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পানি, অনুঃ যে পরিমাণ পানি উযু ও গোসলের জন্য যথেষ্ট, হাঃ ৩৪৫), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ উযু এবং জানাবাতের গোসলের পানির পরিমাণ, হাঃ ২৬৮), মুসনাদে আহমাদ (৬/১২১, ২১৮, ২২৪, ২৩৮)
باب مَا يُجْزِئُ مِنَ الْمَاءِ فِي الْوُضُوءِ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ . - صحيح
জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ‘সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন আর এক মুদ্ পানি দিয়ে অযু করতেন।
(সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা অর্জন ( كتاب الطهارة )
হাদিস নম্বরঃ ৯৩,মুসনাদে আহমাদ (৩/৩০৩, ৩৭০),‘আবদ ইবনু হুমাইদ (১১১৪), ইবনু খুযাইমাহ (১১৭)
باب مَا يُجْزِئُ مِنَ الْمَاءِ فِي الْوُضُوءِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَبْرٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ بِإِنَاءٍ يَسَعُ رَطْلَيْنِ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ شَرِيكٍ قَالَ: عَنِ ابْنِ جَبْرِ بْنِ عَتِيكٍ، قَالَ: وَرَوَاهُ سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عِيسَى حَدَّثَنِي جَبْرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَبْرٍ سَمِعْتُ أَنَسًا إِلَّا أَنَّهُ قَالَ يَتَوَضَّأُ بِمَكُّوكٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ رَطْلَيْنِ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ: الصَّاعُ خَمْسَةُ أَرْطَالٍ وَهُوَ صَاعُ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ وَهُوَ صَاعُ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم . - ضعيف : إلا قوله : ( كَانَ يَتَوَضَّأُ بِمَكُّوكٍ) : صحيح : ق
আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পাত্রের পানি দিয়ে অযু করতেন, তাতে পানি ধরত দু’ রতল পরিমাণ। আর তিনি গোসল করতেন এক ‘সা’ পানি দিয়ে। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু জাবর (রাঃ) বর্ণনা করেনঃ আমি আনাস (রাঃ)-সূত্রে শুনেছি, তিনি বলেছেন, তিনি এক ‘মাক্কুক’ (বা এক মগ) পানি দিয়ে অযু করতেন, দু’ রতলের কথা উল্লেখ নেই।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বালকে বলতে শুনেছি, পাঁচ রতলে এক ‘সা’ হয়। আবূ দাউদ বলেন, এটা হচ্ছে ইবনু আবূ যি’ব-এর ‘সা’। আর এটাই হচ্ছে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘সা’।
(সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা অর্জন ( كتاب الطهارة )
হাদিস নম্বরঃ ৯৫,বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ পানি দ্বারা উযু করা, হাঃ ২০১), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের জন্য যে পরিমাণ পানি ব্যবহার মুস্তাহাব)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসুল সাঃ এক সা' পরিমান পানি দিয়ে ফরজ গোসল করতেন। তার বেশি পানি দিয়ে গোসল করলে মুহাব্বতে সমস্যা হবেনা।
(০২)
সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা আদায় না করলে গুনাহ হবেনা,মুহাব্বতে সমস্যা হবেনা।
(০৩)
স্বাভাবিক গোসল এর ক্ষেত্রে ১০/১৫ লিটার পানিই যথেষ্ট।
(০৪)
অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করায় আপনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বশীলকে অবহিত করবেন।