আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
১।আমার বোনের দেবরের সালা তার বয়স ১২ থেকে ১৩ হবে আমার থেকে ১৫ বছরের ছোট হবে তাকে আমি আদর করি বলে সে মাথায় উঠছে কথায় কথায় গায়ে হাত তোলে না করলে শুনেনা রাগ দেখালে শুনেনা এইজন্য আমিও সাথে সাথে দেই। ও বেশি জোরে দেয় না আমিও বেশি জোরে মারিনা। কিন্তু গতকাল রাতে সে বলে চোখ উপরিয়ে আমিও বলি উপরে ফেলব কিন্তু আমি এমনিতেই বলছি সে বলে পারলে কর আমি কিছু করিনি আমিও বলি পারলে কর সে আমাকে কাঠি দিয়ে আমার চোখে গুঁতা দেয় আমি চোখ বন্ধ করে ফেলছি উপর দিয়ে অল্প লাগে এইজন্য রাগ উঠে যায় তাকে দুইটা জোরে মারছি।চরম লেভেলের বেয়াদব তুই তুকারি করে।সে আমার সামনে আমার ভাগ্নিদের মারে বললে শুনেনা। তাকে যে আমি মারছি তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে?

২।তার নামে আমার আপার কাছে বিচার দেওয়া যাবে কি?

৩।তার সাথে যদি  কথা না বলি এই উদ্দেশ্য যে তাকে পাত্তা দিলে তার বেয়াদবি আরও বারবে তাহলে কি জায়েয হবে?

৪।একবারে ছোট নয় আবার বড় নয় এরকম বাচ্চা যাদের বয়স ৬ থেকে ১২ বা বালেগ হওয়ার আগে তারা যদি শরিরে আঘাত করে তাদের মা বাবাকে বললে তেমন একটা লাভ হয়না যদি দুয়েকটা কসিয়ে খিচতে পারি তাহলে আর আমাকে আর আঘাত করবেনা দুই-একজনের উপর প্রয়োগ করে ফল পাইছি এখন কি তাদের উপর আঘাত করা যাবে?

৫।আমি বাচ্চাদের আদর করে মাঝে মাঝে কিছু টাকা দেই কিন্তু তারা প্রতিদিন খুঁজে না করলে শুনেনা দমক দিলে শুনে তাদের দমক দেওয়া জায়েজ হবে কি?

৬।বাচ্চারা প্রসাব করার পর সাথে সাথে শুকনা তেনা দিয়ে মুছে পরিস্কার করে সেই শরীরে যদি আমার ভেজা শরীর লাগে তাহলে কি আমার শরীর নাপাক হয়ে যাবে?


৭।মোবাইলে ফেসবুকে বা ইমুতে স্টোরি বা রিলস দেখার হিন্দু ধর্মের কিছু চলে আসে সাথে সাথে পাল্টে দেই কিন্তু মনে মনে পড়া হয়ে যায়।পরে সয়তান অনেক জালায় বা নফসের কুমন্ত্রণা আসে  তাতে করে ইমানে কোনো সমস্যা হবে কি বা গোনাহ হবে কি বা একারনে ফেসবুক আর ইমুর স্টোরি দেখা নাজায়েজ জবে কি।
৮।ফেসবুকে দিনদার না এরকম কেউ ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠালে একসেপ্ট করা যাবে কি আবার অনেকে আল্লাহ পাক এর গুণবাচক নামে আব্দুল লিখেনা দুই ধরনের লোকের রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করা যাবে কি?
৯।যারা দিনদার না তাদের সাথে চললে ক্ষতি হয় সেটা আমি প্রমান পাইছি নিজের আমল ঠিক রেখে তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা বা সাময়িক সময়ের জন্য চলা যাবে কি আবার অনেক সময় নামাজের কথা বললে যায় তাদের সাথে চলা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আদব শিক্ষার নিমিত্তে তাকে যে মেরেছেন, সেটা নিন্দনীয় হবে না।তাছাড়া সে যেহেতু বালেগ হওয়ার নিকটবর্তী, তাই তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না।

(২) তাকে আরো আদব শিক্ষার নিমিত্তে তার নামে নালিশ করতে পারবেন।

(৩) তার সাথে দূর বজায় রাখাই উচিত। 

(৪) নিজে মারতে যাবেন না, বরং তার থেকে দূরে থাকবেন।তার অভিভাবককে প্রথমে অবহিত করবেন। অভিভাবকের মৌখিক বা মৌন সম্মতি নিয়ে তাকে আদব শিক্ষা দিতে মৃদু প্রহার করতে পারবেন।

(৫) জ্বী, জায়েয হবে।

(৬) না, নাপাক হবে না।

(৭) যেহেতু আপনি জানেন, সেটা অপেন করলে গান বাহনা, নারীদৃশ্য চলে আসবে, তাই আপনার জন্য এটা অপেন করা জায়েয হবে না।

(৮) এসব লোকদেরকে এক্সেপ্ট করবেন না।

(৯) তাদের কে দাওয়াত দেওয়ার নিয়তে তাদের সাথে চলাফেরা করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...