জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(a.b)
মসজিদে ২য় জামাত সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
’’عن الحسن قال: کان أصحاب رسول الله ﷺ إذا دخلوا المسجد، وقد صلي فیه، صلوافرادی‘‘. (المصنف لابن أبي شیبة، کتاب الصلاة، باب من قال: یصلون فرادی، ولایجمعون. مؤسسة علوم القرآن جدید ۵/۵۵، رقم:۷۱۸۸)
ছাহাবায়ে কেরামগন যখন মসজিদে প্রবেশ করে দেখতো যে নামাজ হয়ে গেছে,তখন একাকিই নামাজ আদায় করে নিতেন।
,
অন্য হাদিসে এসেছে
عن أبي بکرۃ رضي اللّٰہ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم أقبل من نواحي المدینۃ یرید الصلاۃ، فوجد الناس قد صلوا، فمال إلی منزلہ فجمع أہلہ فصلی بہم۔ (رواہ الطبراني في الأوسط ۳؍۲۸۴ رقم: ۴۶۰۱، مجمع الزوائد ۲؍۴۵
کذا في إعلاء السنن ۴؍۲۶۶ بیروت)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ একবার মসজিদে এসে দেখলেন যে জামাত হয়ে গেছে,তখন তিনি বাড়িতে চলে গেলেন,তারপর নিজের পরিবার নিয়ে ঘরেই জামাত করে নামাজ আদায় করলেন।
عن عبد الرحمن بن المجبر قال: دخلت مع سالم بن عبد اللّٰہ مسجد الجمعۃ، وقد فرغوا من الصلاۃ، فقالوا: ألا تجمع الصلاۃ؟ فقال سالم: لا تجمع صلاۃ واحدۃ في مسجد واحد مرتین۔ قال ابن وہب: وأخبرني رجال من أہل العلم عن ابن شہاب ویحییٰ بن سعید وربیعۃ واللیث مثلہ، کذا في المدونۃ الکبریٰ لمالک ورجالہ کلہم ثقات۔ (إعلاء السنن ۴؍۲۶۲ رقم: ۱۲۶۰ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
যার সারমর্ম হলো সালেম রাঃ বলেন যে একই মসজিদে ২য় বার জামাত করা যায়না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মসজিদ চাই জামে মসজিদ হোক বা নন-জামে মসজিদ হোক,বিধান একই।
এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদগুলোতে যদি তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে, তাহলে স্থানীয় লোকজনের জন্য নিয়মিত দ্বিতীয় তৃতীয় জামাত করে নামায পড়া মাকরূহ।
,
চলাচলের রাস্তায়, যানবাহনের স্টপিজ ইত্যাদি স্থানের মসজিদ হলে এসব মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করাতে কোন সমস্যা নেই।যদিও তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে।
★সুতরাং আপনার জন্য উত্তম হলো মসজিদে একাকি নামাজ পড়া।
মসজিদ বা অন্যত্রে জামাত করা মাকরুহ।
আদ্দুররুল মুখতার (২/২৮৯) গ্রন্থে আছেঃ
ويكره تكرار الجماعة..... فى المسجد أو غيره
যার অর্থ হলো মসজিদ বা অন্যত্রে ২য় জামাত মাকরুহ।
বিস্তারিত জানুনঃ
(c)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ لَيْسَ صَلاَةٌ أَثْقَلَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ مِنَ الْفَجْرِ وَالْعِشَاءِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ الْمُؤَذِّنَ فَيُقِيمَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً يَؤُمُّ النَّاسَ ثُمَّ آخُذَ شُعَلاً مِنْ نَارٍ فَأُحَرِّقَ عَلَى مَنْ لاَ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ بَعْدُ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ‘ইশার সালাত অপেক্ষা অধিক ভারী সালাত আর নেই। এ দু’ সালাতের কী ফাযীলাত, তা যদি তারা জানতো, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো। (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন) আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, মুয়ায্যিনকে ইকামাত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামত করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে অতঃপর যারা সালাতে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।
(বুখারী ৬৫৭, (৬৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬২৪,মুসলিম ৬৫১।)
হযরত উসামা বিন যায়দ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “লোকেরা জামাআত ত্যাগ করা হতে অবশ্য অবশ্যই বিরত হোক, নচেৎ আমি অবশ্যই তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেব।” (ইবনে মাজাহ্, সুনান, সহিহ তারগিব ৪৩০নং)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,এই ফতোয়ার শুরুতেই যে হাদীস গুলো বর্ণনা করা হয়েছে,তাত্র বুঝা যাচ্ছে জামাআতের এতো গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও ছাহাবায়ে কেরামগন ২য় জামাত করেননি।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস অনুযায়ী আমাদের যেকোনো মসজিদে যেয়ে দ্বিতীয় জামাত এর অনুমতি নেই।
এটা মাকরুহ হবে।
(d.e)
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরজ রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
স্মর্তব্য যে, আরবী দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হবে।
جاز صوم رمضان، والنذر المعين، والنفل بنية ذلك اليوم أو بنية مطلق الصوم أو بنية النفل من الليل إلى ما قبل نصف النهار، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الأول في تعريفه وتقسيمه وسببه ووقته وشرطه -1/195
সারমর্মঃ রমযানের মাসের রোযা,নফল রোযা,নযরে মুয়ায়্যান রোযার নিয়ত দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।
অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।
নিয়ত বাংলায় বা আরবীতে বলা জরুরী নয়। আরবীতে যেসব নিয়ত আমাদের দেশে প্রচলিত এসব শব্দে কোন নিয়ত কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
,
★সুতরাং মনে মনে নিয়ত করে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি সাহরী খাওয়ার সময় রোযা রাখবেন বলে অন্তরে ঠিক করেন,তাহলে সেটিই নিয়ত।
,
আর যদি সাহরী না খান,বা অন্তরে রোযা রাখবেন কিনা কিছুই ঠিক না করেন,তাহলে দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
নিয়ত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ