আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হুজুর,

কেউ যদি নিজের কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন রোযা রাখে তাহলে রাখা যাবে কিনা। এক্ষত্রে তার তো গুনাহ থেকে বাঁচা ফরয আবার মা বাবার কথা মানা ও ফরয, তারপর নফল রোযা এটা। তাই যদি প্রতিদিন রোযা রাখতে দেখে মা বাবা নিষেধ করে,  তাহলে কি করবে?  কিন্তু রোযা না রাখলে তো তার দ্বারা কুপ্রবৃত্তির গুনাহ করার আশংকা বেড়ে যাচ্ছে কিংবা হয়েও যাচ্ছে কবিরা গুনাহ। আর এটা তো আর মা বাবাকে খুলে ও বলা যাচ্ছে না লজ্জায় যে, নাবী( সঃ) কুপ্রবৃত্তির গুনাহ থেকে বাঁচতে নফল রোযা রাখতে বলেছেন।

এমতাবস্থায়, মা বাবার নিষেধ না মেনে নিজে মারাত্মক কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন নফল রোযা রাখা যাবে কিনা। এমন কি বাসায় আত্মীয় স্বজন আসলেও তাদের খাতিলে নফল  রোযা ছাড়বে না একসাথে খাওয়ার জন্য। কারণ আল্লাহ কাছে তো সে ছোট হয়ে যাচ্ছে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার দ্বারা।
জাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

রোযা রাখার বিধান ঐ সময়েই,যখন বিবাহ না করলে যেনার মধ্যে চলে যাওয়ার প্রবল আশংকা থাকে,নিজেকে হেফাজতের কোনো ভাবেই যদি উপায় না থাকে  আর স্ত্রীকে ভরনপোষণ দেওয়ার মতো সামর্থও না থাকে,তখন রোযা রাখার বিধান এসেছে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)

হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)

সুতরাং মাঝে মাঝে নফল রোজা রাখতে হবে। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ

হে যুবক সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিবাহ করে। কেননা, বিবাহ তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের বিবাহ করার সামর্থ্য নাই, সে যেন রোযা পালন করে। কেননা, রোযা তার যৌনতাকে দমন করে। (বুখারী,হাদীস নং-৪৯৯৬)

,
আর যদি যেনার মধ্যে যাওয়ার প্রবল আশংকা না থাকে,বা স্ত্রীকে ভরনপোষণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকে,তখন রোযা রাখার বিধান নেই।
তখন বিবাহই করতে  হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আমি বলবো যে বিবাহই করতে হবে।

মা বাবাকে বলা,,,ইত্যাদি  শতচেষ্টার পর কোনো কারণে বিয়ে করা অসম্ভব হয়,তাহলে যৌনক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে এক্ষেত্রে রোযা রাখাই নির্দিষ্ট। 

★এক্ষেত্রে যখন যখন সমস্যাকর মনে হয়,তখন রোযা রাখবেন।
সারাবছর রোযা রাখবেননা।
,
,
এক্ষেত্রে মা বাবাকে আপনার বিবাহের কথা বলার পরেও তারা যদি অনুমতি না দেন,আর সেক্ষেত্রে আপনি রোযা রাখেন,তাহলে এক্ষেত্রে যেহেতু রোযা রাখাই নির্দিষ্ট,তাই রোযা রাখার ক্ষেত্রে বাবা মার কথা শোনা যাবেনা।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

فَإِنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ، فَلَا سَمْعَ وَلَا طَاعَةَ

অসৎকাজে আনুগত্য নয় ;আনুগত্য কেবলমাত্র সৎকাজের ক্ষেত্রেই হতে হবে। (বুখারী ৭১৪৫  মুসলিম ১৮৪০)

হাসান বসরী রহ. বলেন, 
إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة : لم يطعها 
যদি মা সন্তানের প্রতি মায়া দেখিয়ে ইশার জামাতে শরিক হতে বারণ করে তাহলে এ ক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্য করা যাবে না। (বুখারী ১/২৩০)
,
হ্যাঁ মাঝে মাঝে রোযা রাখা হতে বিরতি দিতে হবে,যাতে শরীরের কোনো ক্ষতি না হয়।
বাড়িতে যখন মেহমান ইত্যাদি আসে,তাহলে তাদের খাতিরে রোযা রেখে থাকলে এই নফল রোযা ভাঙ্গা যাবে।
,
পরবর্তীতে সেটা রাখবেন।
,
আর যদি রোযা না রেখে থাকেন,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
রোযা ছেড়ে দেওয়া যাবে।
,
★আর যদি যেনায় লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশংকা না থাকে,তবে স্ত্রীর ভরনপোষণ এর ক্ষমতা থাকে,তাহলে বিবাহ করে নিবেন।
,
আর যদি যেনায় লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশংকা না থাকে,এবং স্ত্রীর ভরনপোষণ এর ক্ষমতাও না থাকে,তাহলে নিম্নোক্ত লিংকে দেওয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে গুনাজ থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 221 views
0 votes
1 answer 107 views
...