আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
একজন মেয়ে বেদ্বীন থাকা অবস্থায় একটা সমসয়সী ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। তারা এক্সিডেন্টালি না জেনেই মজার ছলে দুই বন্ধু র সামনে ইজাব কবুল করে ফেলে। পরবর্তী তে কিছুদিন পর মেয়েটি এই বিষয়ে জানতে পারে। এবং এইখান থেকেই মেয়েটির দ্বীনের বুঝ আসা শুরু করে। কিন্তু ছেলেটির এগুলো পছন্দ হচ্ছিলো না বিধায় ঝগরাঝাটি হয়ে তালাক দিয়ে দেয়। তারপর মেয়েটি তার পরিচিতদের দ্বীনি বোনদের মাধ্যমে আলেম, মুফতির সাথে কথা বলে এবং উনারা জানান বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো এবং তালাক এ বায়িন্যাহ হয়েছে। কারণ ছেলে মেয়ের নির্জনবাস বা সহবাস হয়নি। এর আগে তালাক হলে তা তালাকে বায়িনাহ হয়।
এগুলো হওয়ার অনেক বছর হয়ে গিয়েছে ৫/৬ বছর।  এখন মেয়েটির বাসায় বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা চলে। মেয়ের পরিবার দ্বীনি নয় তাই বিয়ে নিয়ে এমনিতেই ঝামেলা। তারউপর এই বিষয় জানালে মেয়ে খুব সমস্যায় পড়ে যাবে।

এই বিষয়টা যদি মেয়েটা নিজের পরিবার এবং যাকে বিয়ে করবে তাকে অতীতের কথা লুকিয়ে বিয়ে করে এটা কি প্রতরণা  বা গুনাহ র বিষয় হবে? (তাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়নি এবং নির্জনবাসও হয়নি। দেখা সাক্ষাত হতো ফোনে কথা হতো।)

এটা একটা এক্সিডেন্ট ছিল। মেয়ে ভীষন অনুতপ্ত।
আরেকটি বিষয় যেটা মেয়ের আগে মাথায় আসে নি । তা হচ্ছে যেই দুই বন্ধু র সামনে ইজাব কবুল হয়েছিলো তাদের মধ্যে একজন এসব সম্পর্কে কিছুই জানে না বুঝে না মানে বেদ্বীন ছিল আর এভাবে বিয়ে হয়ে যায় জানে না তাকে জানানোও হয়নি।(একজনকে জানানো হয়েছিল পরবর্তী তে কিন্তু আরেকজনকে কিছুই জানানো হয়নি)

 আর যেখানে ইজাব কবুল হয় সেখানে মেয়ে এবং তার বান্ধবী আর ছেলে আর ছেলের দুই বন্ধু এক সাথে বসে আড্ডা দিত, পাঁচ জনের একটা সার্কেল ছিল। একজন বন্ধু সে মজা করে ইজাব দেয় চেলে মেয়ে কবুল করে ফেলে। কিন্তু আরেক বন্ধু (২য় বন্ধু বা ২য় সাক্ষী) ও সেখানে উপস্থিত ছিল।  তবে সেই ছেলেটি প্রায়ই কানে ইয়ার ফোন লাগিয়ে বসে থাকতো।  মনে নেই সেইদিনও তার কানে ইয়ারফোন ছিল কিনা মানে ইজাব কবুল হতে শুনেছি কিনা!!

যদি না শুনে থাকে তাহলে কি বিয়েটা হয়েছে? আর এই যে বিষয়টা শুনেছে কি শুনে নি এটা নিশ্চিত হওয়ার ও কোনো পথ নাই এখন কারন সবাই ডিটাচড। নিশ্চিত করতে গেলেও সমস্যা তেরি হবে কারণ মেয়েটি এখন দ্বীন পুরোপুরি মানার চেষ্টা করে নন মাহরাম দের থেকে বেঁচে চলে।

একটু পরামর্শ দিন মেয়েটার কি করা উচিত সে খুবই পেরেশান!

তার ভবিষ্যত বিয়ের ক্ষেত্রে তার কি এসব জানানো উচিত? জানালেই বা কিভাবে জানাবে? পরিবার এ জানাজানি হলে মেয়েটির জীবনে অনেক বড় সমস্যা হবে।

1 Answer

0 votes
by (571,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত উমর রাযি এর নিকট একজন ব্যক্তি এসে বলল,
আমার একটি মেয়ে আছে,  যাকে আমি জাহিলিয়াতের যুগে জীবন্ত পুতেছিলাম।অতঃপর মৃত্যুর পূর্বেই বের করে নিয়ে এসেছিলাম।অতঃপর আমাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌছল, আমাদের সাথে সেও ইসলাম গ্রহণ করলো। ইসলাম গ্রহণের পর তার উপর আল্লাহর হদ কায়েম হল অর্থাৎ তার উপর যিনার শাস্তি বাস্তবায়ন করা হল। সে একটি দাড়ালো চুরি হাতে নিল,নিজেকে শেষ করার জন্য। আমরা তাকে প্রতিহত করলাম তবে সে তার গলার সামান্য রগ কেটে ফেলল।আমরা তাকে চিকিৎসা করালাম,অতঃপর সে সুস্থ হল।সে সুস্থ হওয়ার পর তার বিয়ের পয়গাম আসলো।ম অর্থাৎ এক জায়গা থেকে তার রিশতা আসলো। হে আমিরুল মু'মিনিন উমর রাযি!
আমি কি তার অতীত সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করে দেবো দেবো। হযরত উমর প্রতিউত্তরে তখন বললেন, তুমি এমন জিনিষ প্রকাশ করতে যাচ্ছো, যার উপর আল্লাহ পর্দা ঢেলে দিয়েছেন।
"আল্লাহর কসম করে বলতেছি, যদি তুমি তোমার মেয়ে সম্পর্কে কাউকে কিছু বলো, তাহলে তোমাকে শহরবাসীর জন্য ইবরতের নিশানা বানাবো। তুমি তাকে পূতঃপবিত্র মুসলিম রমনির মত বিয়ে দাও। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 906 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুইজন স্বাক্ষীর একজন যদি না শুনে তাহলে বিয়েই হয়নি, আর দু'জনই শুনলে বিয়ে হয়েছে, এবং যেহেতু পরবর্তীতে তালাক হয়েছে, তাই ঐ মেয়ের অন্যত্র বিয়ে বসতে কোনো সমস্যা নেই। পরিবার বা পাত্রপক্ষকে অতীতের বিয়ের কথা জানানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...