জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত।
وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلَا يَخْطِبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلَّا أنْ يأذَنَ لَهُ» . رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো লোক তার মুসলিম ভাইয়ের বেচাকেনার কথার বলার সময় নিজে বেচাকেনার কথা উত্থাপন করতে পারবে না। আর কোনো মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই তা অনুমতি দেয়, তাহলে পারবে।(মিশকাত-২৮৫০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
একজন মুসলিম ভাই কোনো একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো, এই প্রস্তাব ঝুলন্ত থাকাবস্থায় অন্য ভাইর জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হবে না।
হ্যা, যদি কোনো মেয়েকে কোনো ভাই প্রস্তাব দেয়,এই প্রস্তাবের বিষয়টা অন্য পাত্রের জানা না থাকলে,তখন তিনি ওই মেয়েকে প্রস্তাব দিতে পারবেন।এতে ঐ পাত্রের গোনাহ হবে না।
যদি প্রথম প্রস্তাবের পাত্রের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি না হয়, এমনি শুধু দেখাদেখি হয় (হ্যা/না সিদ্ধান্ত নেয়া অবস্থায় থাকে) এর মধ্যে যদি অন্য কোনো পাত্র প্রস্তাব দিয়ে দেয় এবং দ্বীনদারিতায় যদি উভয় পাত্র সমান থাকে তবে দ্বিতীয় পাত্র আর্থিক সচ্ছলতা এবং সামাজিক অবস্থানে প্রথম পাত্রের চেয়ে উত্তম হয়,তাহলে তখন পাত্রী পক্ষের জন্য দ্বিতীয় পাত্র গ্রহণ করার সিদ্বান্ত নেয়া জায়েজ হতে পারে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে সেই পাত্রের পরিবারের সাথে পারিবারিক ভাবে কথা বলতে হবে,আপনার ব্যপারে তারা যদি স্পষ্ট আকারে হ্যাঁ বলে,তাহলে আর অন্য জায়গায় সিভি পাঠানো জায়েজ হবেনা।
তারা যদি স্পষ্ট আকারে না বলে,সেক্ষেত্রে অন্য জায়গায় সিভি পাঠানো জায়েজ হবে।
তারা যদি হ্যাঁ/না কোনোটিই না বলে,সেক্ষেত্রে অন্যত্রে সিভি পাঠানোর অনুমতি পাত্র হতে নিতে হবে। এমতাবস্থায় পাত্রের অনুমতি ছাড়া অন্যত্রে সিভি পাঠানো যাবেনা।
এখানে ইস্তেখারার প্রয়োজন নেই।
হ্যাঁ যদি অপেক্ষার পরেও তারা কিছুই না জানায়,আর সিভি পাঠানোর অনুমতিও না দেয়,সেক্ষেত্রে আপনারা চাইলে পাত্রকে স্পষ্ট আকারে "না" জানিয়ে দিয়ে অন্যত্রে সিভি পাঠাতে পারবেন।