আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম, বিয়ের জন্য ছেলে ও মেয়ে ২ পক্ষেই সিভি আদান প্রদান হওয়ার পর ছেলে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিন্তু মেয়ের পরিবার ছেলের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে পরিবার, দ্বীনদারিত্ব, চরিত্র সব দিক দিয়ে ছেলে ভালো। এখন মেয়ে এই ছেলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে নাকি অন্য জায়গায় সিভি পাঠাবে কিনা এটা বোঝার জন্য ইস্তিখারা করে দেখবে? এটা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/64116/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। 

وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلَا يَخْطِبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلَّا أنْ يأذَنَ لَهُ» . رَوَاهُ مُسلم

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো লোক তার মুসলিম ভাইয়ের বেচাকেনার কথার বলার সময় নিজে বেচাকেনার কথা উত্থাপন করতে পারবে না। আর কোনো মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই তা অনুমতি দেয়, তাহলে পারবে।(মিশকাত-২৮৫০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
একজন মুসলিম ভাই কোনো একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো, এই প্রস্তাব ঝুলন্ত থাকাবস্থায় অন্য ভাইর জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হবে না। 
হ্যা, যদি কোনো মেয়েকে কোনো ভাই প্রস্তাব দেয়,এই প্রস্তাবের বিষয়টা অন্য পাত্রের জানা না থাকলে,তখন তিনি ওই মেয়েকে প্রস্তাব দিতে পারবেন।এতে ঐ পাত্রের গোনাহ হবে না।

যদি প্রথম প্রস্তাবের পাত্রের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি না হয়, এমনি শুধু দেখাদেখি হয় (হ্যা/না সিদ্ধান্ত নেয়া অবস্থায় থাকে) এর মধ্যে যদি অন্য কোনো পাত্র প্রস্তাব দিয়ে দেয় এবং দ্বীনদারিতায় যদি উভয় পাত্র সমান থাকে তবে দ্বিতীয় পাত্র আর্থিক সচ্ছলতা এবং সামাজিক অবস্থানে প্রথম পাত্রের চেয়ে উত্তম হয়,তাহলে তখন পাত্রী পক্ষের জন্য দ্বিতীয় পাত্র গ্রহণ করার সিদ্বান্ত নেয়া জায়েজ হতে পারে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে সেই পাত্রের পরিবারের সাথে পারিবারিক ভাবে কথা বলতে হবে,আপনার ব্যপারে তারা যদি স্পষ্ট আকারে হ্যাঁ বলে,তাহলে আর অন্য জায়গায় সিভি পাঠানো জায়েজ হবেনা।

তারা যদি স্পষ্ট আকারে না বলে,সেক্ষেত্রে অন্য জায়গায় সিভি পাঠানো জায়েজ হবে।

তারা যদি হ্যাঁ/না কোনোটিই না বলে,সেক্ষেত্রে অন্যত্রে সিভি পাঠানোর অনুমতি পাত্র হতে নিতে হবে। এমতাবস্থায় পাত্রের অনুমতি ছাড়া অন্যত্রে সিভি পাঠানো যাবেনা।
এখানে ইস্তেখারার প্রয়োজন নেই।

হ্যাঁ যদি অপেক্ষার পরেও তারা কিছুই না জানায়,আর সিভি পাঠানোর অনুমতিও না দেয়,সেক্ষেত্রে আপনারা চাইলে পাত্রকে স্পষ্ট আকারে "না" জানিয়ে দিয়ে অন্যত্রে সিভি পাঠাতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম, 
যদি সেই ছেলে অনুমতি দেওয়ার পর মেয়ে ওই ছেলের জন্যই অপেক্ষা করতে চায়, এটা কি জায়েজ হবে?
by (565,890 points)
হ্যাঁ, জায়েজ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...