আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in সালাত(Prayer) by (39 points)

১) এক রাকাত এ  কোন একটি সূরার সর্বনিম্ন কয়টি আয়াত পাঠ করতে হবে?

 

 ২)ফরজ ওয়াজিব সুন্নত  অথবা নফল  নামাজের এক রাকাতে  সূরা গুলির ধারাবাহিকভাবে পাঠ করতে হবে নাকি সেটা না করলেও চলবে যেমন আগে সূরা ফালাক   পাঠ করলাম তারপর পরে রাকাতে  সূরা কাওসার  তারপর   রাকাতে সূরা বাকারা ?

 

৩)ফরজ ওয়াজিব সুন্নত অথবা নফল  নামাজের  ক্ষেত্রে একই রাকাতের সুরা ফাতেহার সাথে দুই বা ততোধিক সূরা পাঠ করা যাবে ? যদি সেটা করা যায় তাহলে সেটাও কি ধারাবাহিকভাবে করতে হবে নাকি ধারাবাহিক  না দিলেও হবে ? 

) সময় মত  ফরজ নামাজ আদায়ের পর  আয়াতুল কুরসি পাঠ করার আমল সেটা কি ওই ফরজ নামাজ যদি কাজা হয় তাহলেও কি আমল করা যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সূরায়ে ফাতেহার পর বড় এক আয়াত এবং ছোট ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ওয়াজিব।
নামাযে কেরাত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/345

(২)প্রথম রা'কাতে সূরা ফিল তেলাওয়াতের পর,দ্বিতীয় রা'কাতে সূরা কুরাইশ তেলাওয়াত করতে হবে।ইচ্ছাকৃত এক সূরা মধ্যখানে ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সূরা তেলাওয়াত মাকরুহ।এবং প্রথম রা'কাতে যে সূরা তেলাওয়াত করা হয়েছে,দ্বিতীয় রা'কাতে এর পূর্বের সূরা তেলাওয়াত করা মাকরুহ।ফরয নফল সকল নামাযের ক্ষেত্রে বিধান সমান নয়।বরং ফরয নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।কিন্তু নফল নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব নয়,বরং মুস্তাহাব।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

(৩)ফরজ ওয়াজিব সুন্নত অথবা নফল  নামাজের  ক্ষেত্রে একই রাকাতের সুরা ফাতেহার সাথে দুই বা ততোধিক সূরা পাঠ করা যাবে।ফরয ওয়াজিব নামাযে সূরা সমূহের মধ্যকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।নফল নামাযে মুস্তাহাব।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে- 
وإذا جمع بين سورتين بينهما سور أو سورة واحدة في ركعة واحدة يكره وأما في ركعتين إن كان بينهما سور لا يكره وإن كان بينهما سورة واحدة قال بعضهم: يكره، وقال بعضهم: إن كانت السورة طويلة لا يكره. هكذا في المحيط كما إذا كان بينهما سورتان قصيرتان. كذا في الخلاصة. وقال بعضهم: لا يكره أصلا
যদি কেউ একই রা'কাতে এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানের অনেক সূরা রয়েছে,বা একটি সূরা রয়েছে,তাহলে এমনটা করা মাকরুহ।তবে যদি দুই রা'কাতে কেউ এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানে অনেক সূরা রয়েছে,তাহলে সেটা মাকরুহ হবে না।আর যদি ঐ দু'টি সূরার মধ্যখানে একটি সূরা থেকে যায়,তাহলে কেউ কেউ এটাকে মাকরুহ বলেছেন।এবং কেউ কেউ বলেন,যদি মধ্যখানের সূরা বেশ দীর্ঘ হয়,তাহলে মাকরুহ হবে না।ঠিক তেমনি দু'টি ছোট ছোট সূরা থাকলে মাকরুহ হবে না।(খুলাসাহ)
আর কেউ কেউ বলেন,এমনটা করলে কোনো অবস্থাতেই মাকরুহ হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1903

(৪)যেহেতু ফরয নামাযের পর তাসবিহ-তাহলীল ও আয়াতুল কুরসির আ'মল মুস্তাহাব পর্যায়ের। সুতরাং আদা নামাযের পর যেভাবে করা যায়,সেভাবে কা'যা নামাযের পরও উক্ত মুস্তাহাব আ'মল করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...