বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সূরায়ে ফাতেহার পর বড় এক আয়াত এবং ছোট ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ওয়াজিব।
(২)প্রথম রা'কাতে সূরা ফিল তেলাওয়াতের পর,দ্বিতীয় রা'কাতে সূরা কুরাইশ তেলাওয়াত করতে হবে।ইচ্ছাকৃত এক সূরা মধ্যখানে ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সূরা তেলাওয়াত মাকরুহ।এবং প্রথম রা'কাতে যে সূরা তেলাওয়াত করা হয়েছে,দ্বিতীয় রা'কাতে এর পূর্বের সূরা তেলাওয়াত করা মাকরুহ।ফরয নফল সকল নামাযের ক্ষেত্রে বিধান সমান নয়।বরং ফরয নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।কিন্তু নফল নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব নয়,বরং মুস্তাহাব।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
(৩)ফরজ ওয়াজিব সুন্নত অথবা নফল নামাজের ক্ষেত্রে একই রাকাতের সুরা ফাতেহার সাথে দুই বা ততোধিক সূরা পাঠ করা যাবে।ফরয ওয়াজিব নামাযে সূরা সমূহের মধ্যকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।নফল নামাযে মুস্তাহাব।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وإذا جمع بين سورتين بينهما سور أو سورة واحدة في ركعة واحدة يكره وأما في ركعتين إن كان بينهما سور لا يكره وإن كان بينهما سورة واحدة قال بعضهم: يكره، وقال بعضهم: إن كانت السورة طويلة لا يكره. هكذا في المحيط كما إذا كان بينهما سورتان قصيرتان. كذا في الخلاصة. وقال بعضهم: لا يكره أصلا
যদি কেউ একই রা'কাতে এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানের অনেক সূরা রয়েছে,বা একটি সূরা রয়েছে,তাহলে এমনটা করা মাকরুহ।তবে যদি দুই রা'কাতে কেউ এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানে অনেক সূরা রয়েছে,তাহলে সেটা মাকরুহ হবে না।আর যদি ঐ দু'টি সূরার মধ্যখানে একটি সূরা থেকে যায়,তাহলে কেউ কেউ এটাকে মাকরুহ বলেছেন।এবং কেউ কেউ বলেন,যদি মধ্যখানের সূরা বেশ দীর্ঘ হয়,তাহলে মাকরুহ হবে না।ঠিক তেমনি দু'টি ছোট ছোট সূরা থাকলে মাকরুহ হবে না।(খুলাসাহ)
(৪)যেহেতু ফরয নামাযের পর তাসবিহ-তাহলীল ও আয়াতুল কুরসির আ'মল মুস্তাহাব পর্যায়ের। সুতরাং আদা নামাযের পর যেভাবে করা যায়,সেভাবে কা'যা নামাযের পরও উক্ত মুস্তাহাব আ'মল করা যাবে।