আসসালামু আলাইকুম
আমার একজন পরিচিত একটা মেয়ের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল
ছেলেটা মেয়েটাকে বলেছে তার দুইজন সাক্ষীর সামনে যদি তারা বিয়ে পড়ে তাহলে তাদের বিয়ে হয়ে যাবে|
ছেলেটা বিয়ে করার সময় এগুলো বলে যে- আমি,(ছেলেটার নাম),(ছেলেটার বাবার নাম),(মেয়েটার বাবার নাম),(মেয়ের নাম) বলে-তারপরে বলে যে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে আমার চরিত্র হেফাজতের জন্যে আমি (মেয়েটার নাম বলে) বিবাহ করিলাম।তারপরে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে যে- তুমি কী রাজি আছো? মেয়েটা বলে যে হা আমি রাজি আছি। তারপরে আবার মেয়েটাকে এভাবে দুইবার জিজ্ঞাসা করে যে সে রাজি আছে কিনা। উল্লেখ্য এই যে , বিয়ে যে ছেলেটা করছে সেই ছেলেটাই -ই বিয়ে পড়িয়েছে,কারো অজু ছিলো না, কোনো কালেমা বা দোয়া পড়ানো হই নাই, সাক্ষী যে দুইজন ছিল সেই দুইজন ছিলো ছেলের পক্ষ থেকে, মেয়ের কোনো সাক্ষী ছিলো না, মোহরানা উল্লেখ করা হয় নাই,ছেলে মেয়ে দুইজনের পরিবারের মা বাবা কেও উপস্থিত ছিল না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী কী তাদের বিয়ে তা কী সম্পূর্ণ হয়েছে?
তারপরে তাদের মাঝে তালাক হয়। মেয়েটা জোর করে তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক নেয়। তার স্বামী এসব বলে তালাক দেয় -১ তালাক, ২ তালাক, ৩ তালাক।
২য় বার তালাকের সময় তার ছাড়ার উদ্দ্যেশে বলে যে তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি
দ্বিতীয় বারের পর আমরা আবার তারা বিয়ে করে। দুইজন সাক্ষী নিয়ে । তখন বলে যে - আমি,ছেলেটার নাম,ছেলেটার বাবার নাম,আমার বাবার নাম,মেয়ের নাম বলে-তারপরে বলে যে আমি মেয়েটাকে বিবাহ করিলাম।তারপরে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে যে- তুমি কী রাজি আছো? মেয়েটা বলে যে হা আমি রাজি আছি। তারপরে আবার মেয়েটাকে এভাবে দুইবার জিজ্ঞাসা করে যে সে রাজি আছে কিনা।
৩য় বার তালাকের সময় সে বলে যে আমি তোমাক তালাক দিলাম
উল্লেখ্য স্বামীর তালাক দেওয়ার ইচ্ছা কোনোভাবেই ছিল না, স্বামী স্ত্রীর জোরাজড়িতে তালাক দিতে বাধ্য হই।
এগুলোর পরে কী মেয়েটাকে আর ফিরায় নেওয়ার সুযোগ আছে?
উল্লেখ্য- বিয়ের সময় মেয়ের বয়স ছিলো ১৯, ছেলের বয়স ছিল ২০।( বিয়ে হই ০৯/০৮/২০২৩ইং , ছেলের জন্ম তারিখ-২৯/০৮/২০০২)